• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
ঘুষ সাধিয়া লজ্জা দিবেন না!

প্রতীকী ছবি

হাস্যরস

ঘুষ সাধিয়া লজ্জা দিবেন না!

  • কাজী সুলতানুল আরেফিন
  • প্রকাশিত ০৩ নভেম্বর ২০১৮

চমৎকার এক স্বপ্নময় দেশ। নিজের দেশেরই এক অফিসে টাঙ্গানো নতুন সাইনবোর্ডটির দিকে চোখ পড়তেই কাসেম সাহেব লজ্জায় মাথা নিচু করে কাঁচুমাচু করতে লাগলেন। ভাগ্যিস! একটুর জন্য বেঁচে গেছেন তিনি। জোর করে কিছু দিবেন ভেবেছিলেন কিন্তু তা আর হলো না। এই দেশে আসলেই মানুষ মানুষকে অনেক ভালোবাসে। প্রত্যেকে একে অপরের কাজে এগিয়ে আসে। প্রশাসনিক চেয়ারে যারা থাকেন এমন কর্মচারী, কর্মকর্তা এমন কি সে দেশের পুলিশও ঘুষ খায় না। কিন্তু সে দেশে এক আজব ঘটনা বিরাজমান। তা হচ্ছে সে দেশের জনগণগুলো যেচে ঘুষ দিতে চায়। এমন ঘটনার উৎপত্তির মূল কারণ হচ্ছে কর্মকর্তা আর কর্মচারীরা জনগণ চাইবার আগেই ফাইল রেডি রাখে। অর্থাৎ কেউ কোনো কাজের জন্য এলে তিনি বসে থাকতে থাকতেই সেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। জুতার তলা ক্ষয় হওয়া দূরে থাক! জুতার তলা টেরই পায় না যে এই জুতার মালিক কোন কাজে কোন দফতরে এসেছেন। এমন ভালোবাসার তাগিদে মানুষ বেশি সন্তুষ্ট হয়ে নিজে থেকেই যেচে...। তেমনি কাসেম সাহেবও ভুল করে...।   

অপরদিকে সে দেশের পুলিশ? সে তো গলায় গলা মিলিয়ে জনতাকে বুকে আগলে ধরে রাখে। সে দেশের কানারাই থানার সামনে দিয়ে বেশি ঘুরে বেড়ায়। কারণ একটাই! তারা জানে থানাই হচ্ছে সেবার প্রধান আঁতুড়ঘর। এই থানাতেই সবচেয়ে আপন বন্ধুরা থাকে। কোনো প্রকারের তদন্ত রিপোর্ট দিতে ঘুষ দেওয়া দূরে থাক! কোনো অনুনয়েরও দরকার পড়ে না। ভূমি অফিস! সে তো এক পরম শান্তির জায়গা। কয়লা, গ্যাস, তেল, এসব সুবিধা ভোগ করে জনগণ দিব্যি সুখে ভেসে যাচ্ছে। প্রশাসনিক সকলের এমন কর্মকাণ্ডে জনগণ বেজায় খুশি হয়ে এখন যেচে ঘুষ সাধে। জনগণের এমন কর্মকাণ্ডে সরকার বিরক্ত হয়ে সকল দফতরে একখানা সাইনবোর্ড ঝুলানোর বাধ্যবাধকতার আদেশ জারি করেছে। সাইনবোর্ডে লেখা থাকবে, ‘ঘুষ সাধিয়া লজ্জা দিবেন না!’  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads