• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে এবার আদাবরে কৃষকের বাজার

প্রতিনিধি পাঠানো ছবি

পণ্যবাজার

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে এবার আদাবরে কৃষকের বাজার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ অক্টোবর ২০২২

নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রাপ্তি নগরবাসীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ফল ও সবজি উৎপাদন থেকে মানুষের প্লেট পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই প্রায় ১৭ থেকে ৩২ শতাংশ পর্যন্ত অপচয় হয়। কৃষকের বাজারের মতো একটি ব্যবস্থাপনা একদিকে যেমন মানুষকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের যোগান দেবে, তেমনি খাদ্য অপচয়ও হ্রাস করা সম্ভব হবে। কৃষকের বাজার এলাকাবাসী, কৃষক এবং সামগ্রিক খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।


আজ ২৮ অক্টোবর ২০২২ সকাল ৯.০০টায় নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডে আদাবর ১০ নং রোডে কৃষকের বাজারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। এ বাজারে প্রতি শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সাভারের তেঁতুলঝোড়া থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাইকৃত ১০ জন নিরাপদ চাষী তাদের উৎপাদিত সবজি এবং ফলমূল বিক্রি করবেন।  


কৃষকের বাজারটি উদ্বোধর করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুল কাশেম। উদ্বোধনী আয়োজনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাভারের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সবুজ চৌধুরী, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার জাভিয়ে বোয়ান, সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট জাহাঙ্গীর আলম, এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের ঢাকা উত্তরের সিটি কো-অর্ডিনেটর মো নজরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের সিটি কো-অর্ডিনেটর শরীফা পারভীন, জেন্ডার এন্ড নিউট্রিশন স্পেশালিস্ট মাসুমা রহমান এবং স্থানীয় এলাকাবাসী।

 
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, মাঠে ফসল বোনা, ফসল কাটা, প্রক্রিয়াজাত করা, বিপণন প্রতিটি ধাপেই খাদ্য অপচয় হয়। দুর্বল বাজার ব্যবস্থাপনার কারণে খাদ্য অপচয়ের পাশাপাশি ভোক্তা ও কৃষক উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষকের বাজার এ সমস্যাগুলো সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। ৩০ নং ওয়ার্ডের কৃষকের বাজারটি আদাবরবাসীর নিরাপদ খাদ্যের যোগান দেবে। কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে বাজার ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। ওয়ার্ডের অন্যান্য এলাকায় বাজারটি আয়োজনের বিষয়ে আমরা সচেষ্ট থাকবো।
সাভারের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সবুজ চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক কৃষকদের নিরাপদ খাদ্য চাষে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। বাজার ব্যবস্থার সঙ্গে কৃষকদের সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে কৃষকের বাজার একটি কার্যকরী এবং সময়োপযোগী উদ্যোগ। এ ধরণের উদ্যোগগুলো টেকসই এবং দেশব্যাপী বিস্তৃত করা প্রয়োজন।  


জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের সিনিয়র টেকনিক্যাল এডভাইজার জাভিয়ে বোয়ান বলেন, এফএও বিশ্বব্যাপী ক্ষুধাকে জয় করা এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পও একই উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঢাকা শহরের খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখা সম্ভব। এলাকাবাসী এবং কাউন্সিলরের সদিচ্ছাই বাজারটি স্থায়ী করতে পারে।  


ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, কৃষকের বাজারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক যাচাইকৃত চাষী তাদের উৎপাদিত নিরাপদ পণ্য সরাসরি ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেবেন। ফলে ভোক্তাদের নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং কৃষকগণ পণ্যের সঠিক মূল্য পাবেন। ভোক্তা-কৃষকের মধ্যকার দূরত্ব হ্রাস করে উভয় পক্ষকে উপকৃত করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরে ইতোমধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং ডাবিøউবিবি ট্রাস্টের সম্মিলিত উদ্যোগে ১২ টি কৃষকের বাজার স্থাপিত হয়েছে। বাজারগুলো টেকসই করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ধন্যবাদসহ

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads