সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে সবজির, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের মাছ। তবে কমেছে চিনি, মুরগি ও ডিমের দাম। এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গছে, বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। গাঁজর প্রতিকেজি ১২০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৩০ টাকা।আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি।কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীতের সময়ে যে পরিমান সবজি বাজারে আমদানি হয় সে অনুযায়ী অনেক কম থাকায় দাম বেড়েছে। তাছাড়া তেলের দাম বাড়ায় বেড়েছে পরিবহন খরচ এর সঙ্গে বেড়েছে সবজির দাম।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা। আর দুই সপ্তাহে আগে ছিল ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে।
ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি কমেছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা। তবে লেয়ার মুরগি আগের মতো ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দামও কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকা। ইন্ডিয়ান ও মায়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।এইসব বাজারে গতসপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডালে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা।একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি।
ইলিশের দামও কিছুটা বেশি।বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে।
বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়।
কমেছে চিনির দাম। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।