• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

পণ্যবাজার

বিধিনিষেধের প্রভাব পড়েনি বাজারে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ জানুয়ারি ২০২২

করোনারভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আবারো সারা দেশে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। তবে এর আগে বিধিনিষেধের প্রভাব বাজারে পড়লেও এবার তেমনটা দেখা যায়নি।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য। নতুন করে দাম না বাড়লেও নিত্যপণ্যের দাম বেশ চড়া বলে মনে করেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত সোমবার বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেওয়া এই ১১ দফা বিধিনিষেধ কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার থেকে। এই খবরে অন্যান্যবার বাজার করার হিড়িক দেখা যেত। তবে গত সোমবার ঘোষিত বিধিনিষেধের খবরে বাজারে তেমন ক্রেতার চাপ চোখে পড়েনি। এরফলে নতুন করে জিনিসপত্রের দামও বাড়েনি।

রাজধানীর কাওরান বাজারের বিক্রেতা মো. সাখি বলেন, ‘অন্যবার তো মানুষ বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আজ তেমন কাস্টমারও নেই। জিনিসপত্র আগের মতোই আছে। তবে ফুলকপির দাম বেড়েছে। এক কেজির কম ওজনের ফুলকপি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগেও এর দাম ৩০ টাকা ছিল।’

‘আসলে দাম আগে থেকেই বাড়া! এই শীতের মধ্যেও তরিতরকারির দাম বেশি। ২০ টাকায় শুধু আলু বিক্রি করা যায়। টমেটোর কেজি ৪০, তাও তো দাম একটু কমেছে, আগে ৫০ টাকা ছিল। এ ছাড়া বেগুন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পাতাকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা ও গাজর ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।

নতুন করে দাম না বাড়ার কথা জানান ফার্মগেটের সবজি বিক্রেতা তারেক। তিনি বলেন, কাঁচাবাজারের কোনো ঠিক নাই, আইজ ২ টাকা বেশি তো কাইল দুই টাকা কম। কাঁচা মরিচের দাম একটু কমেছে, এক পোয়া ১০ টাকা। তবে ফুলকপি ছাড়া অন্যান্য তরিতরকারির দাম ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে একই রকম আছে।

মুদি দোকানি সামাদ বলেন, ‘মুদি আইটেমের তেমন বাড়া-কম নেই। দুই মাস ধরেই ১৬০ টাকা এক লিটার তেল। শুনছি দাম নাকি আরো বাড়বে। নতুন পেঁয়াজের কারণে পেঁয়াজের দাম একটু কম আছে। দেশি পেঁয়াজ ৪০, ইন্ডিয়ানটা ৫০ টাকা। ওই দেশের রসুনের দাম ১৪০ টাকা। দেশিটা ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আদা দেশিটা ৮০ টাকা কেজি, তবে আমদানির আদা ১৪০ টাকা। দেশি মসুর ডালের কেজি ১১০ টাকা, আর বড় গোটার মসুর ডাল ৮০ টাকা।’

ফার্মগেটের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ কিতাব আলী বলেন, ‘তিন মাস ধরে কক মুরগির দাম ৩০০ ঢাকার আশপাশে বেচতেছি। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমবেশি ছাড়া খুব একটা বাড়ে কমে না। তবে ব্রয়লারের দাম আগে ২০০ টাকার বেশি ছিল, এখন তা কমে ১৮০ টাকা হইছে, কারো কাছে আর একটু কমেও রাখতেছি।

মাংসের বাজার রয়েছে আগের মতোই। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া ব্রয়লারের দামও কমে আসছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়, পাকিস্তানি কক ৩০০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি ৪২০ টাকা আর হাঁসের কেজি সাড়ে ৪০০ টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads