• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
মাংসের বাজারে লাগামহীন অবস্থা

প্রতীকী ছবি

পণ্যবাজার

মাংসের বাজারে লাগামহীন অবস্থা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ মার্চ ২০২২

অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো পাল্লা দিয়ে মাংসের দামও বেড়ে চলেছে। রমজানকে সামনে রেখে ৬০০ টাকার গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। কোথাও ৬৫০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এক বছরের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আর খাসির মাংসের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা। মাংসের বাজারে যেন কেউ লাগাম টানার নেই, এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তবে মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি  এ বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, প্রতি বছর সিটি করপোরেশন দাম নির্দিষ্ট করে দেয়, কিন্তু মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা তারা করে না।

মাংসের বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত থেকে মাংস আমদানি করে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় মাংস ও পশু আমদানির প্রতিবাদ হচ্ছে না। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো মন্ত্রণালয় আলোচনা করে না।

মাংসের অতিরিক্ত দামের কারণে অনেক মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে এবং অনেকে পেশা ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানান রবিউল।

তিনি বলেন, করোনার দোহাই দিয়ে গত দুই বছরে মাংস রপ্তানি বা চামড়াশিল্প নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো মিটিং হয়নি।

মাংসের অতিরিক্ত দামের শিকার এক ব্যক্তির নাম তৌফিক ইসলাম। তিনি শবে বরাতে খাবারের তালিকায় হালুয়া, রুটির সঙ্গে বরাবর গরুর মাংস রাখেন। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই ব্যক্তি বলেন, এবারই ছিল ব্যতিক্রম। গরু বা খাসির মাংসের যে দাম, তাতে এবার কেনা সম্ভব হয়নি। সব কিছুর ব্যয় মেটাতে হাঁপিয়ে ওঠার মতো অবস্থা।

শুধু তৌফিকই নয়, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির বড়সংখ্যক মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে মাংস। পণ্যমূল্য বৃদ্ধির তালিকায় এখন জায়গা করে নিয়েছে মাংস। গরু কিংবা খাসি, সব ধরনের মাংসের দাম বাড়ছে। বলা হচ্ছে গুটিকয়েক ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় বাড়ছে পশুর দাম।

এক বছরের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজিতে বেড়েছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আর খাসির মাংসের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads