টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কাঁচা মরিচের ঝাঁজ যেন থামছেই না। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। মরিচের ঝাঁজে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার প্রতিটি হাটবাজার গুলোতে মরিচের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষদের পক্ষে কাঁচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগেও ভুঞাপুর পৌর শহর, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল বাজারসহ উপজেলার অধিকাংশ হাট-বাজার গুলোতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিন থেকে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২২০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নজরদারি জন্য প্রশাসনের প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করছেন ক্রেতারা।
গোবিন্দাসী হাটে মরিচ বিক্রতা সোহেল জানান, বর্তমানে কাঁচা মরিচের কেজি ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোকামে দাম বাড়ার কারনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দাম কমতে পারে।
উপজেলার পাধাইকান্দি বাজারে সাগর ও আলামিন জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। ২২০ টাকা ধরে মরিচ কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।
গতকাল বৃহস্পতিবার গোবিন্দাসী বাজারে মরিচ কিনতে আসা আয়নাল হক বলেন, কি করমু খাওনতো লাগবো, বাধ্য হয়ে নিতাছি। টেহা কম গরীব মানুষ ১ পোয়া মরিচ ৬০ টেহা দিয়া নিলাম।
পাথাইলকান্দী বাজারের মরিচ ব্যবসায়ী মান্নান বলেন, বাজারে কাঁচামরিচের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেড়েছে। কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আমদানি কম থাকায় মরিচের দাম বেড়েছে। আমদানি বাড়লে দাম কমে যাবে বলে জানান তারা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. ইশরাত জাহান জানান, কোনো ব্যবসায়ী যদি বাজারে কাঁচা মরিচের কৃত্রিম সংকট তৈরি তবে তার বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।