• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

সারা দেশে প্রতিদিন পানিতে ডুবে মারা যায় ৩২ শিশু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ অক্টোবর ২০২০

প্রতি বছর সারা দেশে ১২ হাজার শিশুর মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে। দিনে গড়ে ৩২ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এক থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। সকাল থেকে দুপুর ১টার মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের সহায়তায় আমেরিকার জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়, সিআইপিআরবি এবং আইসিডিডিআর’বির উদ্যোগে সাতটি উপজেলায় চালানো গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে একটি হোটেলে এ গবেষণার তথ্য তুলে ধরেন সিআইপিআরবি’র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিনুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনার্গোসের (বাংলাদেশ) পাবলিক অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার ওবায়দুল ফাত্তাহ তানভীর।

তিনি জানান, শিশুর প্রতি সার্বক্ষণিক নজরদারি বৃদ্ধি, ডে কেয়ার সেন্টার, শিশু বেষ্টনী বাড়ানো হলে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)। 

আমিনুর রহমান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হারে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ হাজার শিশু মারা যায় পানিতে ডুবে। দিনে মারা যায় ৩২ জন, যাদের বয়স এক থেকে চার বছর। যদিও এ বিষয়টি উপেক্ষিত। মা যখন রান্না, কাপড় ধোয়া, পরিবারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তখন এ দুর্ঘটনা ঘটে বেশি। সকাল থেকে দুপুর ১টার মধ্যে এ সময়ে বাড়ির পাশের পুকুর, খালে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

সংবাদ সম্মেলনে আমিনুর রহমান জানান, রায়গঞ্জ, মনোহরদী, শেরপুর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর, ও দাউদকান্দি এলাকায় এ গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। গবেষণার অংশ হিসেবে ৫৫ হাজার ৭৯০টি শিশু বেষ্টনী এবং আঁচল নামে তিন হাজার ২০৫টি ডে কেয়ার সেন্টার সাতটি উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়।

আমিনুর রহমান বলেন, আমরা ডে কেয়ার সেন্টার করে সুফল পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে সরকার উদ্যোগ নিলে মৃত্যু হার কমানো সম্ভব হবে। পানিতে ডুবে মৃত্যু রোধে পরিবারের অন্যদেরও সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads