• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
আখাউড়ায় ঝিরঝির করে পড়ছে কুয়াশা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

আখাউড়ায় ঝিরঝির করে পড়ছে কুয়াশা

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ ডিসেম্বর ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার সাথে তীব্র শীত বয়ে চলছে। ঝিরঝির করে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা ও। কুয়াশায় ডেকে আছে মাঠ ঘাট। সেইসাথে হিমেল হাওয়া রয়েছে। হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার কারনে পৌর শহরসহ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ছিন্নমুল,অসহায় হতদরিদ্র লোকজনের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে।

দিনের বেশীভাগ সময় কুয়াশায় ডাকা পড়ে থাকে সূর্য। মাঝে মধ্যে সুর্যের খানিক আলোর দেখা মিললে ও তা থাকছে নিরুত্তাপ। ছিন্নমুল, অসহায় হতদরিদ্র লোকজন খরকুটো দিয়ে আগুন জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার ফলে ঠান্ডাজনিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে শিশু ও বয়বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশী।

আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শীতের কারনে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের সংখ্যা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে অন্তত ৫ শতাধিক লোক শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এসব রোগীর মধ্যে বেশীভাগই রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধ। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।

পৌর এলাকার সুরুজ মিয়া বলেন, শীত ও কুয়াশা থাকায় ইচ্ছে করলে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। এ অবস্থা চললে আমাদের মতো গরিবদের চলাচল খুবই কষ্ট হয়ে উঠবে।

মো. শাহআলম মিয়া বলেন, জমিতে ধান পেকে আছে। কিন্ত কুয়াশা থাকার কারণে কাটা যাচ্ছে না। রিকসা চালক মো. হোসেন আলী বলেন, প্রতিদিন রাত ১০-১১টা পযর্ন্ত রিকসা চালাই। কিন্ত গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশা বেশী থাকায় সন্ধ্যার পর চলে আসি।

অপর দিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভীড় বাড়ছে মানুষের। বিভিন্ন অভিজাত মার্কেটের দোকানগুলোতের শীতবস্ত্রের দাম আকাশ ছোয়া হওয়ায় সাধারন মানুষ বিপাকে পড়ছেন। নিম্ম ও মধ্য আয়ের লোকজন ছুটে চলছেন ফুটপাতের দোকান গুলোতে।

ব্যবসায়ী মো: মান্নান মিয়া বলেন, তার দোকানে ৩০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা দামের কাপড় পাওয়া যায়। এ বছর শীতের শুরু থেকে গরম কাপড় বিক্রি ভালই হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, শীত বাড়তে থাকায় শীত জনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া অন্তত ৬০-৭০ জন শিশু ও বয়স্করা চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads