• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী জিয়াউর রহমান: হানিফ

ফাইল ছবি

সারা দেশ

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী জিয়াউর রহমান: হানিফ

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ ডিসেম্বর ২০২০

বর্তমান সরকারের আমলে দেশে মানবাধিকার শূন্যের কোঠায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, এই দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এরপরেও তারা কোনো লজ্জায় মানবাধিকারের কথা বলে জাতি জানতে চায়।

গতকাল শুক্রবার কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

হানিফ বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ধর্মের দোহাই নিয়ে গণহত্যা ও নারী নির্যাতন করেছিল সেই যুদ্ধাপরাধী, দালাল রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। এই বিএনপির আশ্রয় প্রশ্রয়ে ধর্মভিত্তিক অপশক্তি সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আমরা সার্বভৌমত্ম রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেব। যুদ্ধাপরাধীদের মত সব স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

হানিফ আরো বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। তার মুক্তির জন্য জনগণ তো দূরের কথা বিএনপি নেতাকর্মীরাই রাস্তায় নামেননি, কারণ তারা জানেন তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া, তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় খালেদা জিয়া বাইরে আছেন। এরপরেও তারা কোনো লজ্জায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে জাতির কাছে তা বোধগম্য নয়।

এ সময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহীনুর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আয়োজনে সরকারি কলেজের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ২৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ফলক উন্মোচন এবং সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads