• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
বিজয়ের ৪৯ বছরেও সংরক্ষণ হয়নি চান্দিনার গণকবর ও বধ্যভূমি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

বিজয়ের ৪৯ বছরেও সংরক্ষণ হয়নি চান্দিনার গণকবর ও বধ্যভূমি

  • খায়রুল আহসান মানিক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

কুমিল্লার চান্দিনা সাহা পাড়া ও হাড়ি খোলা দুটি বধ্যভূমি এবং কাসেমপুরে ও কংগাই-এ দুটি গণকবর রয়েছে। যেখানে রয়েছে অনেক দেশপ্রেমিক মুক্তিকামী জনতার নির্মম স্মৃতিগাঁথা। অথচ বিজয়ের ৪৯ বছরেও সংরক্ষণ করা হয়নি এসব স্থান। সেখানে নেই কোন স্মৃতিচিহ্ন।

বিজয়ের মাস আসলেই শুধুমাত্র কাশিমপুর গণকবর নিয়ে কড়া নাড়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা। আর প্রশাসন ও সংবাদকর্মীদের মন জয় করার জন্য একদিন সেখানে উপস্থিত হয়ে কিছু ছবি তুলেই শেষ করে কার্যক্রম। তারপর খাসভূমিতে থাকা ওই গণকবরটি ব্যবহৃতি হয় স্থানীয়দের গৃহস্থালির কাজে।

গত বছর সংবাদকর্মীদের মন রক্ষায় তৎকালীন ইউএনও স্নেহাশীষ দাশ বিজয় দিবসের দু’দিন আগে গণকবরটি পরিদর্শন করে বিজয় দিবসের আগেই স্থানটি সংরক্ষণ করে শহীদদের নামের তালিকা সম্বলিত একটি ফলক স্থাপনের নির্দেশ দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে। নির্দেশ প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন বক্সী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল মালেক, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিষয়ক গবেষক তাহমিদুর রহমান দিদার, স্থানীয় সংবাদকর্মীর নবীর ঘোষ কিংকর প্রমুখ। নির্দেশের একবছর পর সরেজমিনে কাশিমপুর গণ কবরে গেলে দেখা যায় গণ কবরের উপর আবর্জনার স্তুপ। নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। গত বছর সাঁটানো ফেস্টুনটিও কেটে ছিড়ে চৌচির।

এলাকাবাসী ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “গণকবরটি আজও অরক্ষিত, নেই কোনো স্মৃতিচিহ্ন। প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর এলে পরিস্কার করলেও পরদিন থেকেই ধ্বংসস্তুপ। তাদের দাবী, স্থানটিকে সংরক্ষণ করে এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ করা হোক।

এ প্রসঙ্গে মাধাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অহিদ উল্লাহ জানান, ‘বাজেট তো দেয় নাই, এটা তো অনেক টাকার কাজ, বাজেট পেলে করে দিব’।

এ প্রসঙ্গে চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান,‘আমি চান্দিনা এসে এখনো পাই নাই, সব গুলি তালিকা পাঠাব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মস্ত্রনালয় থেকে এগুলি সংরক্ষণের জন্য বাজেট দেয়া হবে’।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রাজাকার আব্দুর রহমান মৃধার সহযোগিতায় প্রায় দেড় শতাধিক পাক বাহিনী গ্রামে ডুকে ৮জনকে হত্যা করে।তাদেরকে কাশিমপুর পেইরারপাড় এলাকায় গণকবর দেয়া হয়।তারা হলেন- জগবন্ধুমাষ্টার (৬০) ও তার ছেলে সুধীর সরকার (৪০), চিত্ত রঞ্জন সরকার (৪৫), অমূল্য চন্দ্র দাস (৫০), চেতন চন্দ্র সরকার (৩৫), যুগেন্দ্র চন্দ্র সরকার (৪০), শিশু চন্দ্র সরকার (৩৮) ও শান্তি রঞ্জনশীল (৩৫)।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads