• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
কালকিনি পৌর নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় হতাশ দুই মেয়র প্রার্থী

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কালকিনি পৌর নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় হতাশ দুই মেয়র প্রার্থী

  • কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরাসহ সাধারণ ভোটাররা। তবে প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও দ্রুত সময়ের মধ্য নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্থগিত হওয়া কালকিনি পৌরসভা নির্বাচনের খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। তারা বলছেন, এত নাটকীয়তার পর শেষ মুহূর্তেই নির্বাচন স্থগিত করার কিছুই ছিল না। পুলিশ প্রশাসনের দুর্বল ভূমিকাকে দুষছেন সাধারণ ভোটাররা।

তবে জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘অনিবার্যকারণবশত নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে নির্বাচন স্থগিত রাখার বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। আগামী রোববার হয়তো স্থগিত হওয়ার কারণ জানা যাবে।’

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের সমর্থিত নৌকা প্রতিকের মেয়র প্রার্থী এস.এম হানিফ তাঁর বাসভবনে নির্বাচন স্থগিত করার প্রতিক্রিয়ায় তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘হঠাৎ করে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে জানতে পেরেছি। তবে কি কারণে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে তা পরে খোঁজ নিলে জানতে পারবো। তবে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানিয়েছেন, স্থানীয় এমপির প্রার্থী নৌকা মার্কা হেরে যাবে সেই ভয়ে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তারা উদ্ভট কথা কোথা থেকে পেলেন কিভবে পেলেন তা আমি জানি না। প্রর্থী কিন্তু এমপির না, প্রার্থী দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তারা শুধু শুধু এমপি সাহেবকে কি কারনে দোষারোপ করছেন সেটা আমরা জানিনা এবং এমপি সাহেবকে দোষারোপ থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা আহ্বান জানাবো।

 

স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমানকে পুলিশ তুলে নেওয়ার ঘটনাকে এস এম হানিফ নাটকের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ‘কিছুদিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী একটা নাটক করেছেন। এগুলো সাধারণ জনগণ জানেন। তারা নির্বাচন করলে জামানত থাকত কি না, সেই সন্দেহ ছিল। নির্বাচনে হারার ভয়ে এখন আবোলতাবোল বলছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।’

 

এদিকে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠু তার বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, নির্বাচনের মাত্র দুই দিন বাকি ঠিক এই মুহূর্তে সুন্দর পরিবেশ বজায় থাকা সত্তেও বিনা উস্কানিতে কোন কারন ব্যাতি রেখে কেন এবং কিভাবে কালকিনি পৌরসভা নির্বাচন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গত ১১ ফেব্রুয়ারী  নির্বাচন পরিচালনার সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকার কথা উল্লেখ করে নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করে, আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং বর্তমানে কালকিনি পৌরসভার পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর থাকা অবস্থায় অবিলম্বে পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচনকমিশনের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

জেলা নির্বাচন অফিসের সূত্র জানায়, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয়-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কালকিনি পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪০০। নারী ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৭০০ ও পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৩০০ জন। চতুর্থ ধাপে কালকিনি পৌরসভার এই নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হওয়ার প্রস্তুতি ছিল।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads