• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

সিদ্ধিরগঞ্জে হরতালে নাশকতায় ছয় মামলায় আসামি ৩ হাজার

  • সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ মার্চ ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতের হরতাল চলাকালে ২৮ মার্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ ও নাশকতার ঘটনায় পৃথক ছয়টি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর দিন ২৯ মার্চ সোমবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি ও র‌্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। ছয়টি মামলায় এজাহারে নামীয় ও অজ্ঞাতসহ মোট ৩ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান আজ মঙ্গলবার ছয়টি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের পাঁচটি মামলার মধ্যে চারটি সন্ত্রাস দমন আইনে আর একটি পুলিশের উপর হামলা ও সরকারী কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ। সোমবার রাতে মামলাগুলো নথিভূক্ত করা হয়েছে। এসব মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে র‌্যাব ও পুলিশের কয়েকটি টিম নাশকতা সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, হরতাল সমর্থকরা মোট আঠারোটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। ছয়টি কাভার্ডভ্যান, নয়টি বড় ট্রাক, একটা বিআরটিসির বাস ও দুইটি মাইক্রোবাস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে শর্টগানের রাবার বুলেট ও চাইনিজ রাইফেলের ৪ হজার গুলি এবং ১৫৫ রাউন্ড টিয়ারসেল ছোঁড়া হয়েছে।

পুলিশের পাঁচ মামলায় ১২৫ থেকে ১৩০ জনের নাম উল্লেখ আর দুই হাজার থেকে আড়াইহাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। র‌্যাবের মামলায় শুধু ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ছয় মামলায় আসামির সংখ্যা ২ হাজার ৬২৫ থেকে ৩ হাজার ১৫০ জন।

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, হরতালে সহিংস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শর্ট গানের রাবার বুলেট ও চায়নিজ রাইফেলের ৪ হাজার রাউন্ড গুলি ছুঁরেছে পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি। এছাড়া পিকেটারদের ছত্রভঙ্গ করতে ১৫৫ রাউন্ড টিয়ার শেলও নিক্ষেপ করা হয়।

প্রসঙ্গত, হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল সন্ধ্যা হরতালে গত ২৮ মার্চ সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল মোড় পর্যন্ত পাঁচটি পয়েন্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। মহাসড়কে আগুন ধরিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয় হরতাল সমর্থকরা। দুপুরের দিকে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জাড়ায়। এসময় চারটি গাড়িতে আগুন দেয়। গণমাধ্যম কর্মীরাও রেহাই পায়নি হরতাল সমর্থকদের নৈরাজ্য থেকে। বহু গণমাধ্যম কর্মীদের মারধর, গাড়ি ও ক্যামেরা ভাঙচুর করে তারা। পরে হরতাল শেষে রাতে আরো ১৪ টি গাড়িতে আগুন দিয়ে নাশকতা ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। ভাংচুর করে অর্ধশতাধিক গাড়ি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads