• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
মেয়ে সেজে যুবককে বিয়ের চেষ্টা, অতঃপর গণপিটুনি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

মেয়ে সেজে যুবককে বিয়ের চেষ্টা, অতঃপর গণপিটুনি

  • সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০২১

সখীপুরে বাংলা বর্ষের প্রথম দিনে এক কবিরাজের কাণ্ড দেখে অবাক হয়েছেন স্থানীয়রা। সে নিজেকে নারী সাজিয়ে এক যুবককে বিয়ে করে এলাকায় তুলকালাম সৃষ্টি করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে গণপিটুনী দিয়ে এলাকা ছাড়া করে। গত বুধবার উপজেলার দাড়িয়াপুর ফালু চাঁনের মাজারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ওই বিয়ের জামাই জুবায়ের হোসেন (২৫) বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, তিনমাস আগে ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে আলতাফ আলী (৩৫) নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিয়ে দাড়িয়াপুর মাজারপাড় এলাকায় আসে। ওই কবিরাজ মাঝেমধ্যে শাড়ি পরেও এলাকায় ঘুরাফেরা করত। সে সন্তানহীন মহিলাদের সন্তান দানের ঝাড়ফুঁক দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন বাড়িতে গত তিনমাস ধরে অবস্থান করছে। এরই মধ্যে ওই এলাকার কৃষক রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়ের হোসেনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। জুবায়ের ও তার পরিবারকে কবিরাজ আলতাফ আলী টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বলেন, ‘আমি রাত ১২টার পর মেয়ে মানুষে রূপান্তরিত হবো, আমাকে বিয়ে করলে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হবেন’। পরে গত ১৩ এপ্রিল রাতে জুবায়ের ও কবিরাজ আলতাফের সম্মতিতেই তাদের বিয়ের প্রস্তুতি চলে। এতে লোভে পড়ে জুবায়েরের পরিবারেরও সম্মতি ছিল বলে জানা গেছে। গত বুধবার সকালে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে ওই কবিরাজকে ধরে এনে পড়নের শাড়ি-ব্লাউজ খুলে গণপিটুনি দিতে থাকে। পরে দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনসার আলী আসিফ, সাবেক চেয়ারম্যান শাইফুল ইসলাম শামীম, সানোয়ার হোসেন মাস্টার ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কবিরাজকে রক্ষা করেন।

সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর স্থানীয়রা ওই কবিরাজকে হিজরা দাবি করেন। পরে স্থানীয়দের অনুরোধেই তাকে ওই এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads