• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
৬০ ভাগ নলকূপে পানি নেই

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

৬০ ভাগ নলকূপে পানি নেই

  • দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০২১

মরুভূমির বুকে পানির জন্য ছটফট করে বহু মানুষের মৃত্যু এবং অসংখ্য মানুষের দুর্ভোগের কথা সবার শোনা থাকলেও ইদানিংকালে অধিকাংশ হস্তচালিত নলকূপে পানি না উঠায় ঝিনাইদহের অধিকাংশ মানুষ বিষয়টি নতুন করে উপলব্ধি করছেন। পান করার জন্য একটু পানি, সেইসঙ্গে গোসল, কাপড় ধোয়া, গবাদিপশুর পানাহার ও গৃহস্থালির অন্যান্য কাজে ব্যবহারে পর্যাপ্ত পানি নেই তাদের হাতে। তাই রাত পোহালেই বালতি, কলস ইত্যাদি নিয়ে গৃহবধূরা ছুটছেন এ বাড়ি, ও বাড়ি।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের দামুকদিয়া, বিষ্ণপুর, সারুটিয়া ইউনিয়নের খুলুমবাড়িয়া ও পৌরসভার কবিরপুর, ঝাউদিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারেন গ্রামের শতকরা ৯০ ভাগ সাধারণ নলকূপে পানি উঠছে না। কোনো একটি বাড়িতে নলকূপে কিছু পানি উঠলেও তা নিতে ভিড় করছেন অগণিত মানুষ। ফলে নিকটস্থ নদী থাকলে সেখানকার পানিই তারা পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। শতকরা ৯০ ভাগ ডোবাতেই পানি নেই চৈত্রের দাবদাহের কারণে। শৈলকুপা পৌরসভার কবিরপুরের গৃহবধূ কাকলী খাতুন ও বেবি খাতুন জানালেন, গত দুসপ্তাহ তাদের নলকূপে কিছু পানি উঠছে না। ফলে বাধ্য হয়েই পাশের বাড়ি থেকে খাবার পানি আনলেও গোসল ও অন্যান্য কাজে বাড়ির বাইরে যেতে অবর্ণনীয় সমস্যা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝিনাইদহ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছয় উপজেলা ও সমসংখ্যক পৌর এলাকায় দু’লাখের মতো সাধারণ নলকূপ রয়েছে। সাধারণত ২৪ ফুট নিচে থেকে এসব নলকূপে পানি ওঠে। কিন্তু অধিকাংশ এলাকায় পানির স্তর অস্বাভাবিক নেমে যাওয়ায় এখন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৮ ফুট নিচে চলে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ নলকূপে পানি উঠছে না।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের শৈলকুপা উপজেলার উপসহকারি প্রকৌশলী সাইফুল ইলাম জানান, তার উপজেলার ১৭ হাজার সাধারণ নলকূপের ৫০ ভাগের মতো নলকূপে পানি উঠছে না। বৃষ্টির দেখা না পাওয়ায় পানির স্তর আরো নেমে যাবার আশঙ্কা করছেন উপসহকারী প্রকৌশলী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads