• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
শিবালয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

শিবালয়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা

  • মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০২১

নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর নির্দেশনা অনুযায়ী মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র জায়গায় অবৈধভাবে বালু উওোলন করার অপরাধে বালু ব্যবসায়ীদের নামে মামলা দায়ের করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ৬ জনকে আসামি করে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলা নং- ৬(৪)২১।

আসামিরা হলেন- শিবালয় থানার নবগ্রামের ভাষান মন্ডলের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম মিন্টু, দাসকান্দি গ্রামের মৃত নিয়ামতের ছেলে মো. মানিক, ধুতরাবাড়ি গ্রামের মৃত কেতাব আলীর ছেলে মো. মোনতাজ উদ্দিন, মৃত আফছার মন্ডলের ছেলে পান্নু মন্ডল, মো. কেবারত আলীর ছেলে পলাশ ও এলমেছের ছেলে আলমগীর।

জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম মিন্টু ও মোন্তাজ মাষ্টারসহ অন্যান্য আসামিরা দীর্ঘ দিন যাবৎ পাটুরিয়া ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র জায়গা দখল করে বালু উওোলন করে আসছিলো। এরআগে ফেরিঘাট এলাকায় এসব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করে নিচ্ছেন। এছাড়া পাটুরিয়া ১ নং হাইওয়াটার ফেরিঘাটের নীচ থেকে ৪/৫টি ভেকু দিয়ে ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর করে অবৈধভাবে বালি ও মাটি কেটে নিচ্ছেন। অপরিকল্পিতভাবে দেশীয় প্রযুক্তির ড্রেজার দিয়ে বালি ও মাটি উত্তোলন ও ফোরশোর ভূমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার ফলে ইতোমধ্যে ফেরিঘাটটি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। যার ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এর বিরূপ প্রভাবে ফেরিঘাটটি ভেঙে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

মামলার বাদী বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ বলেন, কিছু অসাধু বালু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ফেরিঘাট এলাকায় ভেকু ও ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে আসছিল। এতে ফেরিঘাট এলাকা হুমকির মুখে পড়ে। ফেরিঘাট রক্ষার স্বার্থে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের দায়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ফিরোজ কবির বলেন, আরিচা নদী বন্দর এলাকার পাটুরিয়া ফেরিঘাঠ এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা নথিভুক্ত করেছি। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads