• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
খরতাপে ঝরে পড়ছে আম

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

খরতাপে ঝরে পড়ছে আম

  • আব্দুল্লাহ হেল বাকী, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০২১

মাত্র কদিন আগে গাছভরা মুকুলে গুটি গুটি আম দেখে স্বপ্ন বাঁধেন চাষিরা। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে গাছের তলায় মাটিতে ঝরে পড়ছে সে আমের গুটি। গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেও কোনো কাজ হচ্ছে না।

উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চোখে পড়ে ছোট-বড় নানান জাতের আমের বাগান। শুধু তাই নয়, রাস্তার আশপাশে পুকুরপাড়সহ বাড়ির আঙিনায় শোভা পাচ্ছে সুস্বাদু জাতের আমের গাছ। গত বছর ঝড় আম্পানের পর বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল এ অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা নেই। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দাবদাহ বেড়েই চলেছে। অথচ প্রকৃতিতে এখন ভরা বৈশাখ মাস। এ মাসে মেঘের ভেলায় কমবেশি ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে গাছের আম। শুরুর দিকে এ অঞ্চলে আম গাছের ডালে মুকুলে ছয়ে যায়। এমনও দেখা গেছে মুকুলের ভারে অসংখ্য আমের ডাল নুয়ে পড়ে মাটিতে। অতঃপর গুটি গুটি আমে ছেয়ে যায় পুরো গাছ। তা দেখে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন এ এলাকার আম চাষিরা। এভাবে আম ঝরে পড়তে দেখে আমচাষিদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

আমচাষি শিবলী সরকার জানান, তার ১৫ বিঘার মুকুল ভর্তি আমের বাগানে গুটি গুটি আমে ছেয়ে ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ঝরে পড়ছে তার বাগানের আম। গুটি গুটি আমগুলো রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে বৃষ্টি ভীষণ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ১১০টি আমের বাগান রয়েছে। শুরুতে ভালো আবহাওয়া থাকায় আমের মুকুলে পোকা হয়নি, পচনও ধরেনি। তাতে গাছ ভরতি গুটি গুটি আম ধরেছিল। সম্প্রতি রুক্ষ আবহাওয়ার সঙ্গে দাবদাহ বেড়ে যাওয়ায় গাছ থেকে আম ঝরে পড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমের সঠিক পরিচর্চার জন্য আমরা প্রতিদিন আমচাষিদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যেমন গাছে ফল ধরার ১৫ দিন পর পর পানির সেচ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আম মটরদানা ও মার্বেল পর্যায়ে হলে প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া ২ গ্রাম বরিক এসিড স্প্রে করতে হবে। এতে আমচাষিরা ভালো ফলন পাবেন। এ বছর ধামইরহাট উপজেলায় আম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ৬৭৫ হেক্টর বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads