• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা বিভ্রাট!

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা বিভ্রাট!

  • রাশিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০২১

কুড়িগ্রামে ধরলা নদী থেকে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের দায়ে পণ্যবাহী ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জরিমানা আদায়ের পরিমাণ ও আদলত কর্তৃক প্রদেয় রশিদে উল্লেখ অর্থের পরিমাণ নিয়ে বিভ্রাট সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী ট্রাক্টর মালিকদের দাবি, গাড়িপ্রতি ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানার অর্থ নেওয়া হলেও সরকারি রশিদে মাত্র ৫০ হাজার টাকা উল্লেখ করে মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এনিয়ে ভুক্তভোগী ট্রাক্টর মালিকরা জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগপত্র দিয়ে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরত ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে যথাথথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের গোপনীয় শাখায় দেওয়া ট্রাক্টর মালিকদের অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ এপ্রিল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একই উপজেলার মোঘলবাসা ইউনিয়নের দছিমুদ্দিনের মোড় এলাকায় ধরলা নদী থেকে বালু উত্তোলনকারী ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বালুবাহী চারটি ট্রাক্টর আটক করে জরিমানার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ট্রাক্টর মালিক রায়হান মিয়ার কাছে ৮০ হাজার, বাচ্চু মিয়ার কাছে ৭৫ হাজার, জুয়েলের কাছে ৭৭ হাজার নেওয়া হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের সরকারি রশিদ (ডিসিআর) দেওয়া হলে ট্রাক্টর মালিকরা দেখতে পান বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ৪ (খ) ধারা ভঙের অপরাধে ১৫ ধারার বিধানমতে তাদের প্রত্যেকের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা নেওয়া হয়েছে।

আবেদনপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লেখিত তিন ট্রাক্টর মালিক ছাড়াও হজরত আলী নামে আরো এক ট্রাক্টর মালিকের কাছে ৮০ হাজার টাকা নেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত অফিস সহকারী মিঠু। পরে তার ট্রাক্টর ছেড়ে দেওয়া হলেও তাকে কোনো ও টাকা আদায়ের রশিদ দেওয়া হয়নি বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগীরা।

এব্যাপারে জানতে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে এবং ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করেও সাড়া না দেওয়ায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, এসিল্যান্ড সাহেব যে জরিমানা করেছেন সে ঘটনাস্থলে ঘোষণা দিয়ে ডিসিআরর রিসিভ কপি দিয়েছে। ট্রাক্টর মালিকরা রিসিভি কপি যখন পেয়েছে তাৎক্ষনিকভাবে অভিযোগ করতে পেতো। সেটা তারা করেনি। তবুও যদি আমার স্টাফরা এতে জড়িত থাকে আমি ব্যবস্থা নিব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads