• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
রক্তিম সাজে কৃষ্ণচূড়া

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

রক্তিম সাজে কৃষ্ণচূড়া

  • প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)
  • প্রকাশিত ০৪ মে ২০২১

কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া (উবষড়হরী ৎবমরধ)। কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়, যদিও জঙ্গলে এটি বিলুপ্তপ্রায়। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি জন্মায়। সৌন্দর্যবর্ধক গুণ ছাড়াও এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় সর্বোচ্চ ১২ মিটার হলেও শাখা-পল্লবে এটি বিস্তৃত অঞ্চলব্যাপী ছড়ায়। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায় উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের রাজ্যে কৃষ্ণচূড়ার মতো এমন উজ্জ্বল রক্তিম বর্ণের ফুল বেশ দুর্লভ বটে। শীতের হিমেল সমীরণে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে যায়। বসন্তে-গ্রীষ্মে গাছগুলো আবার ভরে ওঠে রক্তিম লাল কমলায়। বৈশাখ মাসের প্রচণ্ড গরমে যখন সবাই অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, তখনই কৃষ্ণচূড়ার ডাল থোকা থোকা লাল-কমলা ফুলে ভরে ওঠে। ফুলগুলো বড় চারটি পাপড়িযুক্ত। শুধু গ্রীষ্মেই নয়, বর্ষায়ও কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে এই ফুল অপূর্ব মোহনীয় রূপে শোভা পায়। কৃষ্ণচূড়া ফুলে মুগ্ধ সৌন্দর্যপিপাসু, পথচারীসহ প্রেমিক-প্রেমিকারা। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়ে ফুলে ফুলে রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে গাছগুলো। মুগ্ধতা ছড়ানো ফুলগুলো যেন লাল রঙের আলপনায় সাজিয়ে রেখেছে প্রকৃতিকে। সেইসাথে গ্রীষ্মের এ খরতাপে কৃষ্ণচূড়ার লাল চাঁদোয়ার যেন ঝালক বিছিয়েছে গ্রামের পথ-প্রান্তরে। বিশুদ্ধ অক্সিজেনের পাশাপাশি এসব গাছ দিচ্ছে ক্লান্ত দেহে ছায়া আর মনে প্রশান্তির পরশ।

গ্রীষ্মের এই আগুন ঝরা দিনে যেন লাল বেনারসি পরা নববধূর সাজে কারো অপেক্ষায় আছে কৃষ্ণচূড়া। কিন্তু প্রকৃতির মাঝে এ বিচিত্র জাতের সৌন্দর্য মেলে ধরা বৃক্ষটি বিলুপ্তির পথে। যেসব গাছ এখনো কোনোমতে আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে সেগুলো নাগরিক জীবনও কর্তৃপক্ষের অসচেতনতা ও অতি লোভ আর নগর পরিকল্পকদের ভুলে হারিয়ে যাচ্ছে। প্রবীণরা জানান, শেষ বয়সে এসেও আকাশে লাল গালিচা বিছানো এ বৃক্ষ আমাদের মন রাঙিয়ে তোলে। গ্রামীণ মেঠোপথের ধুলা-বালির এই গ্রীষ্মের খরতাপে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়ার গাছগুলো।

বীরগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন, পানি উন্নয়ন বোর্ড চত্বর ও খাদ্য গুদাম চত্বরে  হয়ে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads