• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
লকডাউনের মধ্যেই চলছে পণ্যমেলা

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

লকডাউনের মধ্যেই চলছে পণ্যমেলা

  • যশোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০২১

করোনাভাইরাস মহামারী আর লকডাউনের মধ্যে যশোর গাড়িখানাস্থ পুলিশ ক্লাব মাঠে আবারো শুরু হয়েছে অস্থায়ী বাজারের নামে ‘পণ্যমেলা’। প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে একটি চক্র অনুমতিহীন এ মেলা চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র বলছে, কৌশল হিসেবে ‘শিল্প-বাণিজ্য বা পণ্য মেলার’ পরিবর্তে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে ‘করোনাকালীন সংক্রমণ সতর্কতা মেনে অস্থায়ী বাজার’। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেই মেলার আয়োজন করে ‘সংক্রমণ সতর্কতা’র সাইনবোর্ড টাঙানোকেও অনেকেই হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন। তাছাড়া জেলা প্রশাসন থেকেও এই মেলার কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি।

যশোরের বড়বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে মধ্য এপ্রিলে লকডাউন শুরু হলে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল সবকিছুই বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি পাওয়া গেছে। যেখানে করোনা সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধ বা লকডাউন চলমান রয়েছে; এই অবস্থায় শহরের গাড়িখানা সড়কের পাশে ‘অস্থায়ী বাজারের’ নামে পণ্যমেলার আয়োজন করা হয়েছে। গত ১ মে থেকে এই মেলা শুরু হয়েছে। এখানে প্যান্ট, শার্ট, থ্রিপিস, জুতা, অলঙ্কার-প্রসাধনীসহ বিভিন্ন পণ্যের প্রায় ৩০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। আরো ১৫টি স্টল স্থাপনের পর্যায়ে রয়েছে।  নাগরিক আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক মাস্টার নূর জালাল বলেন, করোনা মহামারীর সময়ে এই ধরনের মেলার আয়োজন কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। তিনি অস্থায়ী বাজারের নামে এই মেলা আয়োজনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। যশোরের বড়বাজার ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নেতা ও ছিটকাপড় ব্যবসায়ী সমিতির এক নেতা জানান, এই মেলা নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে অভিযোগ দেন।

ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, মেলা একমাস চলতে পারে। কিন্তু মাসব্যাপী মেলা বছর জুড়েই চলতে থাকে। এতে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হন। করোনাকালে এই অস্থায়ী বাজার নিয়ে কথা হয় যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বড়বাজারসহ অধিকাংশ মার্কেটেই ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্কপরাসহ স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানছেন না। ফলে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। গাড়িখানা সড়কের অস্থায়ী বাজারেও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, গাড়িখানা সড়কের অস্থায়ী বাজার বা মেলার কোনো অনুমতি তারা দেননি। আর করোনা মহামারীর সময়ে যখন কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তখন এ ধরনের মেলার আয়োজন সঙ্গত নয়। তারপরও কীভাবে এটি হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads