• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ মে ২০২১

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন তিনি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন।  সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, স্বামী ও দুই সন্তানসহ তখনকার পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন। ফলে তারা প্রাণে বেঁচে যান।

পরবর্তীসময়ে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এরপর ওই বছরের ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান বঙ্গবন্ধুকন্যা।

বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের হূদয় ছোঁয়া ভালোবাসার জবাবে সেদিন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘বাংলার মানুষের পাশে থেকে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আমি দেশে এসেছি। আমি আওয়ামী লীগের নেত্রী হওয়ার জন্য আসিনি। আপনাদের বোন হিসেবে, মেয়ে হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসাবে আমি আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী প্রতি বছর বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দিবসটি পালন করা হবে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশক পূর্তি উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনার চার দশক : বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটি। এই তথ্যচিত্র প্রদশর্নীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম এবং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। দুদিনব্যাপী (১৬ ও ১৭ মে) এই প্রদর্শনী ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং বিকেল ৩টায় মহানগর নাট্য মঞ্চে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হবে।

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর শেখ হাসিনার রাজনৈতিক পথও মসৃণ ছিল না। নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে তাকে। শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কখনো নিজ বাসভবনে, কখনো জনসভায়, আবার কখনো তার গাড়িবহরে ক্ষমতায় যাতে শেখ হাসিনা কোনোভাবে যেতে না পারেন।

আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সর্বোচ্চ ত্যাগও করতে হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে। কিন্তু আন্দোলনের ফসল তাকে ঘরে তুলতে দেয়নি নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারী মহল। একানব্বইয়ে জাতীয় নির্বাচনে পরাজয় তারই ফল। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন দাবিতে ১৯৯৪-১৯৯৬ সালে বিএনপিবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাঁপিয়ে দেন তিনি। এ আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এবং ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এর পরের ইতিহাস সবারই জানা। দেশ ও জনগণের কল্যাণে অভূতপূর্ব অবদান রাখায় দেশের মানুষ ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads