• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
পাটক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

পাটক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

  • আব্দুস সালাম, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)
  • প্রকাশিত ১৮ মে ২০২১

পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি ও দর ভালো থাকায় পাটচাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। পাটের সোনালি অতীতকে ফিরিয়ে আনতে এখন পাটক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। এরপরও পুরোনো ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পাটচাষিরা। আশা-নিরাশার দোলাচালে এখনও কৃষকের আঙিনা রঙিন করে রাখছে এই সোনালি আঁশ। প্রতিবছর এক বুক স্বপ্ন নিয়ে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে ফসল ফলান কৃষক। সবুজ পাটকে রূপান্তরিত করেন সোনালি বর্ণে। এরপরও বিক্রি করতে গিয়ে পড়েন দুর্বিপাকে। কখনো ভালো দাম পান; আবার কখনো একেবারেই পান না! অনেক সময় আবার লাভের চেয়ে ক্ষতিই হয় বেশি। এরপরও লাভের আশায় প্রতি বছরই পাটের আবাদ করেন তারা। গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় কপাল খুলেছে কৃষকদের। নতুন সম্ভাবনায় এ বছর কৃষকের মনে সেই ভয় কেটেছে। তাই অনেকেই পাটচাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এ বছর।

উপজেলার নতুন হাউলী গ্রামের ইদ্রীস আলীর ছেলে পাটচাষি আব্দুল করিম বলেন, গত বছর আড়াই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছিল। তবে ভালো দাম পাবেন না বলে প্রথম দিকে ১৬শ ও পরে ২৭শ টাকা মণ কিছু পাট বিক্রি করেছি।

উপজেলার পাট ব্যবসায়ী আতিয়ার বলেন, গেল বছর উঠতি নতুন পাট প্রতি মণ ক্রয় করা হয়েছে এক হাজার ৬০০ টাকায়। মাঝামাঝি সময় থেকে দাম বাড়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে দাম সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাটের দাম কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় ভালো। এজন্য স্থানীয় কৃষকরা আবারো পাটচাষে ঝুঁকছেন। গত বছর পাটচাষিদের কাছ থেকে পাট ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতা দরে নগদ টাকায় পাট কিনেছে। তাই কৃষকের সমস্যা হয়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads