• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

গোয়ালন্দে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ৮ দিনেই চার্জশিট প্রদান

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০২১

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যাকাণ্ডের মাত্র ৮ দিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেপ্তার ও মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন (চার্জশীট) আদালতে দাখিল করা হয়েছে।  

আজ শুক্রবার গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ চার্জশিট প্রদানের কথা জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, নিখোঁজের ৩ দিন পর গত ১০ মে দুপুরে নাসির ইসলাম নয়ন (২০) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। 

পাশ্ববর্তী মঙ্গলপুর গ্রামের মশিউর রহমান নামে এক ব্যক্তির নির্মানাধীন বাড়ির পিছনে বালির নিচে পুতে রাখা অবস্থায় নয়নের লাশ উদ্ধার করা হয়। নয়ন উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদুখান পাড়ার শাহজাহান শেখের ছেলে। 

এ ঘটনায় নয়নের মা নাসিমা বেগম বাদী হয়ে পরদিন ১১ মে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় কারো নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর ৫ দিন পর গত ১৬ মে পুলিশ এ  হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামি মানিক হোসেন ওরফে আজমীরকে (১৮) গ্রেপ্তার করে। সে উজানচর ইউনিয়নের দরাপের ডাঙ্গীর হিরু শেখের ছেলে। সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। 

এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুরাদ হোসেন জানান, আসামি মানিক হোসেন ওরফে আজমীরকে গত ১৭ মে সোমবার রাজবাড়ীর চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক সুধাংশু শেখরের আদালতে হাজির করা হলে সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয়। ঘটনার রাতে তারা একসাথে বসে তারি খায়। এরপর তাদের মধ্যে কিছু নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ পর্যায়ে আসামি মানিক নয়নের মাথার পিছন দিকে সজোরে আঘাত করে। এতে সে লুটিয়ে পড়ে এবং কিছুক্ষণ পর মারা যায়। এরপর লাশ গোপন করার জন্য সে একটি কোদাল জেগার করে নিজেই মশিউর রহমানের বাড়ির পিছনে বালির নিচে পুঁতে রাখে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সে ছাড়া আর কেউ জড়িত ছিল না বলেও আদালতকে জানায়।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুরাদ হোসেন আরো জানান, গত এ মামলার তদন্ত শেষ করে তিনি মাত্র ৮ দিনের মধ্যে গত ১৯ মে বিজ্ঞ আদালতে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র (নং-১৪৫)  দাখিল করেন। 

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর  বলেন, এ মামলার বিষয়ে ঢাকা রেন্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান (বিপিএম বার,  পিপিএম বার) এবং রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এমএম শাকিলুজ্জামান স্যার  তাদেরকে যথাযথ দিক নির্দেশনা দেয়াসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads