• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
বাবুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

বাবুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০২১

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমানের ছেলে রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মেহেদি হাসান বাবুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন  উপজেলাবাসী।  শনিবার সাইনবোর্ড বাজার এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করে।

সমাবেশ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী জানান, চেয়ারম্যানের পরিবারের কেউ যাতে উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনের দলীয় মনোনয়ন না পান, সেজন্য কতিপয় ব্যক্তি চেয়ারম্যানের মৃত্যুর পর তার পরিবার নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিভিন্নভাবে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। দলের কাছে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা মনে করি এখানে উপনির্বাচন হলে, মেহেদি হাসান বাবুই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দাবি রাখেন। তিনি যোগ্য। তার গ্রহণযোগ্যতা ও ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। মাহফুজুর রহমানের জায়গায় বাবু ছাড়া আপনার অন্য কোনো যোগ্য ব্যক্তি দেখি না। কেননা তার বাবা বেঁচে থাকলে তিনি তো আরো তিন বছর দায়িত্বে থাকতেন। সেজন্য দলের শীর্ষনেতাদের কাছে আমাদের দাবি, এই তিন বছরের জন্য মেহেদি হাসানকে যাতে মনোনীত করা হয়।

বক্তারা বলেন, এস এম মাহফুজুর রহমান কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় মারা যান। তিনবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। এর আগে একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার ব্যাপক সুনাম আছে।

প্রয়াত এস এম মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত রাড়ীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমার স্বামীর মৃত্যুর পরে আমাদের সাথে যা হচ্ছে তা কাম্য নয়। তিনি যেদিন মারা গেলেন, তার পরদিনই আমাদের দুটি রাইস মিলের লাইসেন্স বাতিলের জন্য অপচেষ্টা চালানো হয়। এর পরের দিন আমার বড় ছেলে মেহেদি হাসান বাবুর ওপর হামলা চালানো হয়। আবার একটি ঘটনা সাজিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামি করা হয়। আমরা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র দত্ত বলেন, মাহফুজুর রহমান আমাদের মাথার ওপর দীর্ঘ বছর যিনি বটগাছের ছায়া দিয়ে রেখেছিলেন, সেই জননেতা মরহুম এস এম মাহফুজুর রহমান আজ আমাদের মাঝে বেঁচে নেই। আজ আমরা অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছি। রাড়ীপাড়ার মানুষ আজ অসহায় জীবনযাপন করছে। তাই আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবকদের কাছে একটি দাবি, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতার অবশিষ্ট দিনগুলো যেন এই পরিবারে কাউকে দিয়েই তাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads