• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
যমুনার চরে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন, চাষীদের মুখে হাঁসি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

যমুনার চরে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন, চাষীদের মুখে হাঁসি

  • ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ জুন ২০২১

চলতি বছর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চলে মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় চাষীদের মুখে আ ফুটেছে। বাজারে মিষ্টি আলুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দাম পেয়ে খুশি এখানকার আলু চাষীরা। এ চরাঞ্চলের উৎপাদিত মিষ্টি আলু স্থানীয় মানুষদের চাহিদা মিটিয়ে যমুনার এ আলু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের তথ্যমতে,উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলে এবার মিষ্টি আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮০ হেক্টর। চাষ হয়েছে ২২০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও ৪০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উন্নত হাইব্রিড জাতের মিষ্টি আলুও চাষ করেছেন চাষীরা। তবে স্থানীয় জাতের আলুর ফলনই বেশি হয়েছে বলে জানান আলু চাষীরা।

এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার  গাবসারা ইউনিয়নের রেহাইগাবসারা ও রুলীপাড়া ব্লকে ২০২০-২১ অর্থ বছরে কান্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত মিষ্টি আলুর প্রদর্শনীর মাঠ দিবস করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এ সময় উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. ইশরাত জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন চন্দ দেবনাথ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শহীদুজ্জামান , উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার এসএম রাশেদুল হাসান, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আসাদুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান , কৃষক লীগের সভাপতি মো. হযরত আলী, সাংবাদিক আব্দুল লতিফ তালুকদার, ফরমান শেখ ও কোরবান আলী তালুকদার প্রমূখ।

এদিকে, মিষ্টি আলু চাষীরা জানান, অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মিষ্টি আলুর চরা রোপন শুরু হয়। ফাল্গুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে থেকে মিষ্টি আলু মাটির নিচে পরিপক্ক হয়। আর চৈত্র ও বৈশাখ মাসে থেকে আলু তোলা শুরু হয়।

মিষ্টি আলুর রাজ্য হিসেবে পরিচিত উপজেলার যমুনার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে,ক্ষেত জুড়ে চলছে মিষ্টি আলু তোলার উৎসব চলছে। রোদের তেজ উপেক্ষা করে কৃষান কৃষানীরা কোদাল দিয়ে মাটি  আলগা করে  আলু সংগ্রহ   করছেন আলু নিতে আসা ব্যাপারীরা ক্ষেতে বসেই আলু মেপে বস্তায় তুলছেন।

স্থানীয় চাষী সেকান্দার বলেন, এ মৌসুমে তিন বিঘা  জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ১২০ থেকে ১৫০ মণ করে  আলুর ফলন পেয়েছি। বাজারেও আলুর  দাম বেশ  পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি মণ মিষ্টি আলু পাইকারি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করছি। তিন বিঘা জমিতে চারা রোপন ও আলু তোলা পর্যন্ত মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এতে লাভ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

আলু চাষী আব্দুল আলীম, আলী মিয়া, মনির মিয়া বলেন, আগে এসব জমিতে অন্যান্য ফসল আবাদ  করতাম। এতে লাভ কম হতো । চলতি বছর আমরা মিষ্টি আলু চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার আল মামুন রাসেল বলেন,ত এ বছর যমুনা চরাঞ্চলের ভূঞাপুর অংশে মিষ্টি আলু উৎপাদন ভালো হয়েছে। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বোক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া  আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী বছর আরও বেশি পরিমাণ মিষ্টি আলুর চাষ হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads