• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

চাঁদপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পাবে ১০৯ পরিবার

  • মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ, চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ জুন ২০২১

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলায় ১০৯টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হবে।

আজ শুক্রবার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় ও সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ।

তিনি বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার পুরণে ঘর নির্মাণের পূর্ব থেকে প্রতিটি মুহুর্তে আমাদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ সার্বিকভাবে তদারকি করছেন। তারা এর জন্য কঠোর পরিশ্রমও করছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নই হচ্ছে আমাদের প্রেরণার উৎস। কাজ করতে আমাদের কোন ক্লান্তি ও অবসরও নেই।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব ঘর নির্মাণ সামগ্রী মান সম্মত কিনা এবং হস্তান্তর করা যাবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা গৃহ নির্মাণ করার সময় বার বার প্রত্যেকটি সামগ্রী যাচাই বাছাই করে কাজ করেছি। যাদেরকে এসব ঘর দেয়া হয়েছে, সেসব ঘর রেজিষ্ট্রেশন করে দেয়া হয়েছে। ওই দলিলে উল্লেখ রয়েছে কোনভাবেই এসব ঘর হস্তান্তরযোগ্য নয়।

ডিসি বলেন, এসব ঘর নির্মাণে কোন ত্রুটি হয়ে থাকলে তা আমরা অবশ্যই গুরুত্বসহকারে দেখব। দেশের কোন কোন স্থানে ঘর নির্মাণের পর যেসব দুর্ঘটনা হয়েছে, সেটি হচ্ছে মাটি ভরাটের পরপরই অনেকে গৃহ নির্মাণ করেছেন। যার কারণে মাটি ধসে নীচে নেমে যাওয়ার কারণে দেয়ালে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। আমাদের ক্ষেত্রে আমরা খুবই সতর্কতার সাথে তত্ত্বাবধান করছি।

অঞ্জনা খান বলেন, গৃহহীনদের তালিকা করতে গেলে আমাদেরকে জনপ্রনিধিদের উপর নির্ভর করতে হয়। আমরা তাদের সঙ্গে নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেছি। অনেক ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছে, যাদের তালিকায় নামও আছে। কিন্তু তারা তাদের নিজ বর্তমান স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র যেতে চায় না। তিনি এ ধরণের কয়েকটি উদাহরণ টেনে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের সমাজে হতাশাজনক অনেক কাজও রয়েছে। এসব কাজের মাঝে ভালো কাজও আছে। সেসব কাজগুলো আপনারা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবেন। তারা যেন ভালোকাজে উৎসাহ পায়। নতুন প্রজন্ম অল্পতেই হতাশ হয়ে পড়ে।

অনুষ্ঠানে জেলার নির্মিত ঘরের ডুকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী।

সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাধারন সম্পাদক রহিম বাদশা, সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, গোলম কিবরিয়া জীবন, বিএম হান্নান, শরীফ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস ও ডিবিসির জেলা প্রতিনিধি তালহা জুবায়ের প্রমূখ।

এ সময় চাঁদপুর জেলা সদরে কর্মরত জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ইমতিয়াজ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) সানজিদা শাহনাজ।

জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী দ্বিতীয় পর্যায়ে সদর উপজেলায় ঘর পাবে ১৭টি, কচুয়া উপজেলায় ২টি, মতলব উত্তর উপজেলায় ৩০টি, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ১০টি, শাহরাস্তি উপজেলায় ৩০টি, হাইমচর উপজেলায় ২০টি।

এর আগে চাঁদপুর জেলায় প্রথম পর্যায়ে গৃহ প্রদান করা হয় ১১৫টি পরিবারকে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪০টি, কচুয়া উপজেলায় ১৫টি, মতলব উত্তর উপজেলায় ৫টি, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ৫টি, শাহরাস্তি উপজেলায় ৫টি, মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ২৫টি, হাইমচর উপজেলায় ২০টি।

আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় পর্যায়ের ৫৩ হাজার ৩শ’ ৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads