• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

কোটালীপাড়ায় মাদক বিক্রেতাদের শপথ পড়ালেন ওসি

  • কোটালীপাড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ জুন ২০২১

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মাদক বিক্রি ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য মাদক বিক্রেতাদের শপথ পড়ালেন ওসি আমিনুল ইসলাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাঝবাড়ি ভাই ভাই মার্কেটে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হিরণ ইউনিয়ন বিট পুলিশিং এর উদ্যোগে ও কোটালীপাড়া থানা পুলিশের আয়োজনে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আলোচনা সভা শেষে ওসি আমিনুল ইসলাম এ শপথ বাক্য পাঠ করান।

হিরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় হিরণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, ইউপি সদস্য মুসা বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শামিম দাড়িয়া বক্তব্য রাখেন।

এর আগে মাদক বিক্রি থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ঘোষণা দিলে ৬ জন মাদক বিক্রেতাকে চকলেট, মাস্ক ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান কোটালীপাড়া থানার ওসি মো: আমিনুল ইসলাম ও হিরণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া।

ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া দাড়িয়া বলেন, আমার ইউনিয়নে যারা মাদক বিক্রির সাথে জড়িত তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য হিরণ ইউনিয়ন পরিষদ ও কোটালীপাড়া থানা পুলিশ যৌথ ভাবে নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে আমরা মাদক বিক্রি ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আসার জন্য মাদক বিক্রেতাদের আহবান জানিয়েছিলাম। আমাদের এই আহবানে সাড়া দিয়ে ৬জন মাদক বিক্রেতা স¦াভাবিক জীবনে ফিরে আসার ঘোষনা দিয়েছেন। আমরা এদের কর্মময় জীবনের জন্য সকল প্রকার সহযোগিতা করবো।

মাদক বিক্রি ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা এক মাদক বিক্রেতা বলেন, মাদক বিক্রির সাথে জড়িয়ে আমি ভুল করেছিলাম। আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। আমি আর আগামীতে মাদক বিক্রি করবো না। আমি এখন কাজ করে খাবো।

কোটালীপাড়া থানার ওসি মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি সম্প্রতি এই থানায় যোগদান করে মাদক, জুয়া, ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ের উপর জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছি। এসব বেআইনি কাজের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা। তবে আমি প্রতিটি ইউনিয়নে সভা করে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা জন্য আহবান জানাচ্ছি। আমি প্রতিটি ইউনিয়নের মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের ৭দিন করে সময় দিচ্ছি। যদি কেহ এই সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে না আসে তাহলে থানার পক্ষ থেকে বিক্রেতা ও সেবনকারীদের যে তালিকা তৈরী করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads