• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
পশু নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

পশু নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা

  • দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ জুন ২০২১

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দিনাজপুরে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মিলে ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৭৩টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছে খামারিরা, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। জেলায় চাহিদার চেয়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৫৯ হাজার ২৫৩টি গবাদি পশু। এবার দিনাজপুর জেলায় সাড়ে ৭শ কোটি টাকার কেনাবেচার জন্য গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহিনুর আলম।

এদিকে কোরবানির ঈদে করোনা মহামারির কারণে গরু-ছাগল বিক্রি এবং ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে খামারিরা। যেহেতু করোনায় অনেক পেশার মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। এরপরও পশুর হাটগুলোতে কমই দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করা। তাই করোনা সংক্রমণের ভয়ে কেনাবেচা কম হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জেলায় ‘অনলাইন পশুর হাট, দিনাজপুর’ নামে ফেসবুক পেজ খুলেছেন। এরপরও বিভিন্ন উপজেলাতেও অনলাইনে কেনাবেচার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, করোনাকালীন খামারিদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা মার্কেটিং বা বিপণনে। এ জন্য আমাদের দপ্তর থেকে একটি গ্রুপ পেজ খুলেছি। এতে খামারিদের বিক্রয়যোগ্য পশুর ছবি, ওজন অনুযায়ী মূল্য ও খামারিদের মোবাইল নম্বর আপলোড করা হচ্ছে। ক্রেতারা সংশ্লিষ্ট খামারিদের সঙ্গে কথা বলে বাড়িতে বসেই পশু ক্রয় করতে পারবেন। এতে করে খামারি ও ক্রেতারা উভয়েই লাভবান হবেন বলে আমরা মনে করি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহিনুর আলম জানান, গরু ও মহিষসহ ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৭৩টি এবং ছাগল-ভেড়া রয়েছে ৭২ হাজার ৪০৯টি। দিনাজপুরে আসন্ন কোরবানির ঈদে প্রয়োজন গরু-মহিষ প্রায় ৮৫ হাজার ৩৬৮টি এবং ছাগল-ভেড়া ৪৯ হাজার ৬৫২টি। শুধু কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ছোট-বড় খামার ও বাড়িতে গরু মোটাতাজাকরণ করেছে ৬০ হাজারের অধিক পশু। তিনি আরো জানান, করোনায় গরুর সব হাটেই নজর রাখা হচ্ছে যাতে রোগাক্রান্ত কোনো গবাদিপশু বিক্রি না হয়। এজন্য জেলায় ২৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে এবং কাজ শুরু করেছে। ক্রেতা বিক্রেতাদের সচেতনতার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া ও মনিটরিং করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads