উপজেলার গৌরিনাথপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান প্রতিপালন করেছেন বৃহৎ আকৃতির একটি গরু। বিদেশি জাতের গরুটির নাম রেখেছেন ‘ছোটবাবু’। তবে নামের সঙ্গে গরুর আকৃতির রয়েছে বিস্তর ব্যবধান। গরুটির ওজন ২০ মণ। কৃষক হান্নান এবার কুরবানির ঈদের হাটে তার এই ‘ছোটবাবু’ বিক্রি করতে চান। গরুটির দাম হাঁকিয়েছেন তিনি ১০ লাখ টাকা। করোনাকালে খাবারসহ গরু প্রতিপালনের জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গরুটি পালতে অনেক বেশি খরচ হয়ে গেছে। এরপরও সার্বিক দিক বিবেচনা করে তিনি ১০ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছেন। কালো ও সাদা রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য সাড়ে সাত ফুট, উচ্চতা চার ফুট। ওজন ২০ মণ। ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের বাড়িতে মোটাতাজা করেছেন আব্দুল হান্নান। লালন-পালন করা বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি দেখার জন্য প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছে তার বাড়িতে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ‘ছোটবাবু’কে কোনো হাটে না নিয়ে অনলাইনে ছবি ও বর্ণনা দিয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

২০১৭ সালের দেড় লাখ টাকায় হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভি কিনে পালন শুরু করেন আব্দুল হান্নান। পরিবারের সবাই মিলে যত্ন করে ষাঁড়টি বড় করা হয়েছে। ষাঁড়টির খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুষি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, তৈলবীজের খৈল, ছোলা ও খুদের ভাত। সব মিলে দিনে ৩৫-৪০ কেজি খাবার খায় ‘ছোটবাবু’। শুরুর দিকে খাবার কম খেলেও দিনে দিনে তার খাবারের চাহিদার পরিমাণ বেড়ে যায়।