• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে লকডাউনে টিকিট বিক্রি!

  • বরগুনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ জুলাই ২০২১

ঢাকা টু বরগুনা/বেতাগী টু ঢাকা যেতে চাইলে প্লিজ কল- ০১৯২১১৯৫...,০১৭২৮৬৪২..., ০১৩০৭৪৪১...’, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ মাইক্রো সার্ভিস (এসি) বরগুনা, বেতাগী থেকে বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিটে এবং ৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্রাউজ করতে করতে হঠাৎ এমন পোস্টে চোখ আটকে গেল। পোস্টের তথ্য অনুযায়ী বরগুনা ও বেতাগী থেকে ঢাকার পথে ছেড়ে যাচ্ছে রীতিমতো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাইক্রো প্রাইভেট কার। অথচ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন! 

ফেসবুক পোস্টে তাহলে কিসের বিজ্ঞাপন? ফেসবুক পোস্টের ওই বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে কিছুটা খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেল, হ্যাঁ, বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সব ধরনের গণপরিবহন। কেবল পণ্যবাহী যানবাহন আর ব্যক্তিগত পরিবহনই চালু রয়েছে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই। দিনের আলোতে মানলেও রাতের অন্ধকারে বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিছুটা গোপনীয়তার মধ্যে দিয়ে হলেও চলছে দূরপাল্লার বেশকিছু যাত্রীবাহী পিকআপ-মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার গাদাগাদি করে ৩ জনের সিটে ৫ জন যাত্রী নিয়ে এসব পরিবহন ঢাকায় ছেড়ে যাচ্ছে। এমনকি এম্বুলেন্সে করেও যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।। 

প্রতিদিনই বরগুনা, বেতাগী থেকে যাত্রীবাহী প্রাইভেট সার্ভিস ছেড়ে যাচ্ছে ঢাকার পথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে টিকেট। আর চোখের সামনে এসব দেখেও নির্বিকার প্রশাসন।

যাত্রীদের অভিযোগ, ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে টিকেট বিক্রি হচ্ছে। জনপ্রতি ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হয়। এসব সিন্ডিকেটে স্থানীয় পরিবহন ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরগুনা টাউনহল ব্রীজের মনসাতলি স্টান্ড, ক্রোক, স্টেডিয়ামসহ আরো বেশ কয়েকটি স্থান থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিচ্ছেন যাত্রীরা

এক যাত্রীকে লকডাউনের সময় বের হয়েছেন কেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘কাজের জন্য বের হয়েছি, কাজ না করলে খাবো কি? এজন্য বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় রওনা হয়েছি।' এসময় মহাসড়কে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তাদের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে বরগুনা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম তরিকুল ইসলাম বলেন, "আমরা মহাসড়কে টহল দিচ্ছি। কোন পরিবহণ যাত্রী নিয়ে চলাচল করলেই আটক করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads