গাজীপুরের শ্রীপুরে ঈদের পর দিন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু‘পক্ষের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায় পেট্রোল নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ঘটনায় দগ্ধ আরিফ হোসেন (৩৫) মারা গেছে।
গতকাল সোমবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন কালে তিনি মারা যান। পেট্রোলের আগুনে তার শরীরে ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গিয়েছিল। পরে দ্রুত তাকে ঢাকায় বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়। নিহত আরিফ উদয়খালি গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে।
স্বজনরা জানান, নিহত আরিফ একটি পোশাক কাখানায় চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে ছিলেন তিনি। তার চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার ঈদের পর দিন সন্ধ্যায় তেলিহাটি মোড়ে ভাই ভাই স্টোরে গ্যাসের সিলিন্ডার কিনতে আসেন নাদিম সরকার নামে এক ক্রেতা। পরে সিলিন্ডার কিনে বাড়িতে চলে যান নাদিম। নাদিম ওই এলাকার তোফাজ্জল সরকারের ছেলে। বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার নেওয়ার পর তাদের মনে হয় বেশি দাম নিয়েছে দোকানী মোজাম্মেল হক। এ সময় তোফাজ্জল সরকার ফের দোকানে এসে দাম বেশি নিয়ে বাকবিতণ্ডাতে জড়িয়ে পড়েন। এক সময় ক্ষিপ্ত হয়ে তোফাজ্জল ও তার সহযোগীরা পেট্রোল ছুঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আরিফ সজিব রুবেলসহ চারজন দগ্ধ হয়।
এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় দুপক্ষই দুটি মামলা করেছে।
তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল বাতেন সরকার সাংবাদিকদের জানান খুবই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটলো। একটি গ্যাসের সিলিন্ডার কেনাকে নিয়ে এ দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সিলিন্ডারে দাম বেশি নেওয়া হয়েছে এমন বিষয় নিয়ে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো। তিনি বলেন দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ জানান, দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। বেশ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।