• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ধসে পড়েছে কলাপাড়ার পুনর্বাসন কেন্দ্র

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

ধসে পড়েছে কলাপাড়ার পুনর্বাসন কেন্দ্র

  • মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
  • প্রকাশিত ০১ আগস্ট ২০২১

কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য নির্মিত পুনর্বাসন কেন্দ্র-২-এর লালুয়ার মহল্লাপাড়া আবাসন কেন্দ্রে নির্মিত পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও সড়কের একাংশ ধসে পড়েছে। গত তিন দিনের প্রবল বৃষ্টিতে আবাসনের পশ্চিম দিকের প্রায় ৭০ ফুট ড্রেন ও মাটির সড়কসহ আউটার ডাইক ধসে পড়ে।

জানা গেছে, পায়রা বন্দর নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের পুনর্বাসনের জন্য কলাপাড়ার মোট তিন হাজার ৪২৩ পরিবারকে সরকার পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কলাপাড়ার মহল্লাপাড়া, মেড়াউপাড়া, হাচনাপাড়া, চান্দুপাড়া, লেমুপাড়া, ধুলাসার ও লোন্দা গ্রামে আবাসন কেন্দ্র নির্মাণ করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়। লালুয়া ইউনিয়নের মহল্লাপাড়ায় ৬৩৬ পরিবারের জন্য নির্মাণ হচ্ছে আবাসন কেন্দ্র। ইতোমধ্যে মহল্লাপাড়া আবাসন কেন্দ্রে ৪০৬ পরিবারকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আবাসন কেন্দ্রের অধিকাংশ ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এ আবাসন কেন্দ্র নির্মাণের কাজ করছে। আবাসন কেন্দ্রের অভ্যন্তরে পাকা ঘর, ইটের সলিং রাস্তা, ড্রেন, পানির পাম্প বসানো, বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনের কাজ ইতোমধ্যে ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। সুসজ্জিত করা হয়েছে তিনতলা বিদ্যালয় ও মসজিদের কাজ। মাটি থেকে প্রায় ১২ ফুট উচ্চতায় বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস সহায়ক এ আবাসনে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর অধিকাংশ নির্মান সম্পন্ন হওয়া ঘরে মানুষ উঠে যাওয়ায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আবাসনের অভ্যন্তরে বিরাজ করে হাসি-খুশির পরিবেশ। কেননা গৃহ হারিয়ে এ পরিবারগুলো এতদিন ছিন্নমূলের মতো জীবনযাপন করছিল। গত কয়েকদিন ধরে একটানা প্রবল বর্ষণে আবাসনের পশ্চিম দিকের আউটার ডাইকসহ সড়কে ৭০ ফুট ধসে পড়ে। এতে ধসে পড়া এলাকার পরিবারগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। বালু ও মাটির বস্তা ফেলে ঘরগুলো ঠেকানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। মহল্লাপাড়া আবাসনের চারিদিক ফসলি জমি হওয়ায় গোটা প্রকল্পের বৃষ্টির পানি পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ ড্রেন ও সড়ক ধসে পড়তে পারে বলে স্থানীয়রা জানান। তবে তাৎক্ষণিক পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু করায় নতুন করে আর ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেনি।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার এস এম রাজিবুল আহসান বলেন, অতিবর্ষণে কিছু এলাকা ধসে পড়েছে। তবে এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। তারা দ্রুতই ধসে পড়া সড়ক ও ড্রেন পুনর্নির্মাণে কাজ শুরু করেছেন। ভবিষতে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সে বিষয়টি মাথায় রেখে তারা সকল উন্নয়ন কাজ করছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads