পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোসাগরের কাউয়ারচর ধোলাইমার্কেট সংলগ্ন সৈকত ও কুয়াকাটার ঝাউ বাগান এলাকায় ভেসে এসেঠে দুটি বিপন্নপ্রায় প্রজাতির ডলফিন। একই সময়ে ভেসে এসেছে সমুদ্রে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির রাজ কাঁকড়ার একটি মৃতদেহ। শুক্রবার সকালের জোয়ারে দুটি ডলফিন ও রাজ কাঁকড়া সাগরের জোয়ারে ভেসে এসে সৈকতের বালুচরে আটকা পড়ে। মৃত ডলফিন দুটি বটল নোজ প্রজাতির।
কাউয়ার চর সৈকতে আটকে পড়া মৃত ডলফিনটি লম্বায় প্রায় আট ফুট ও ঝাউবাগান সৈকতে ভেসে আসা ডলফিনটি লম্বায় প্রায় পাঁচ ফুট। দুটি ডলফিনের শরীরই পঁচে বিবর্ণ হয়ে গেছে। এছাড়া শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সাগরে মাছ শিকার জেলে ট্রলারের জালে আটকে বা ট্রলির আঘাতে ডলফিন দুটি মারা গেছে। এর আগে গত সপ্তাহে কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসে তিনটি মৃত ডলফিন যেগুলো সৈকতেই মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় পরিবেশ কর্মী কামাল হাসান রনি বলেন, এভাবে সমুদ্রে ডলফিন মারা যাওয়ার তাদের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে। এর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে মৎস্য বিভাগকে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত একই সাথে জেলেদের সচেতন করতে এখনই তাদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। কারণ সামুদ্রিক এ বন্ধু প্রাণীগুলো মারা পড়লে সমুদ্রে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
পটুয়াখালী ইকোফিস-২ প্রকল্পের সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানান, শুক্রবার সৈকতে ভেসে আসা দুটি ডলফিনই বটল নোজ প্রজাতির। এছাড়া কাঁকড়াটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির রাজ কাঁকড়া। ঝাউ বাগানে ভেসে আসা ডলফিনটি তাৎক্ষণিক ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যরা মাটি চাপা দিলেও কাউয়ার চর সৈকতে ভেসে আসা ডলফিনটি এখনও সেভাবে আছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে আসার খবর পাওয়ার সাথে সাথে মৎস্য বিভাগ ও মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউটের গবেষকদের জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।