• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
১ কেজি চিংড়ির দাম ১৬'শ টাকা

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

১ কেজি চিংড়ির দাম ১৬'শ টাকা

  • ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

যমুনায় পানি কমলেও দাম কমেনি মাছের। দিন দিন যমুনার দেশীয় নানা প্রজাতির মাছের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গোবিন্দাসী যমুনা নদীর পূর্বপাড় ঘাট মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায় নিলামে এক কেজি চিংড়ির দাম উঠে ১৬'শ টাকা। এতে ক্ষুদ্ধ মাছ কিনতে আসা ক্রেতারা।

মাছ কিনতে এসে স্থানীয় শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের আয় সীমিত। নদীর পাড়ের মানুষ হলেও যমুনার মাছ আমাদের কপালে ঝোটেনা। এত দাম দিয়ে মাছ খাওয়া আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। সকালের এ বাজারে দূর-দূরান্ত থেকে পাইকার ও অবৈধ উপায়ে আয় করা কিছু মানুষ অতি উচ্চ মূল্যে মাছে কিনে নেয়। ফলে আমাদের মতো নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষদের পক্ষে পাল্লা দিয়ে মাছ কেনা সম্ভব হয় না।

আরেক ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, কি করে এক কেজি চিংড়ির দাম দেড় হাজার টাকা হতে পারে! এ বাজারে আরতদারদের সিন্ডিকেটের কারনে মাছ উচ্চ দাম দিয়ে কিনতে হয় ক্রেতাদের। এছাড়া নিলাম বা মাছ ডাকের সময় শুধু ক্রেতার নিকট থেকে অস্বাভাবিক ফি আদায় করা হয়। এদিকে দেশী প্রজাতির অন্যান্য মাছের দামও চড়া। প্রতিকেজি কাজলি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২'শ টাকা দরে। এছাড়া বাইম ৯'শ, গোলসা ৭'শ, বাইলা ৬'শ, আইড় ১২'শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জেলেরা জানায়, নদীতে পানি কমলেও জালে মাছ কম ধরা পড়ছে। তাই বাজারে মাসের আমদানি কম। মাছের আরতদার ইসমাইল জানান, যমুনা নদীর মাছের চাহিদা বেশি। তাই দামও চড়া। গেল এক সপ্তাহ ধরে নদীতে পানি কমলেও মাছ ধরা পড়ছে কম তাই দাম বেশি। মাছ বেশি ধরা পড়লে দাম কমে যাবে।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, মাছের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে, তবে মধ্যস্বত্তভোগী আরতদারদের কারসাজি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads