• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শিশু ধ্রুব, নির্জনের ক্যানভাসে পূজার ভিন্ন স্বাদ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

শিশু ধ্রুব, নির্জনের ক্যানভাসে পূজার ভিন্ন স্বাদ

  • কাজী মফিকুল ইসলাম, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
  • প্রকাশিত ১৩ অক্টোবর ২০২১

 


চিত্রকর্মে হাতে খড়ি নেই ধ্রব’র। তবে দেবি মা দুর্গা ফুটে উঠেছে তার চিত্রে। টুকটাক চিত্রকর্ম জানা নির্জনের। তবে দুর্গা মাকে যেভাবে সে ফুটিয়ে তুলেছে সেটা অবাক করার মতোই। ধ্রুব ও নির্জনের শিল্পকর্মে আখাউড়া ন পূজার ভিন্ন স্বাদ।
ধ্রুব বনিক ষষ্ঠ শ্রেণিতে, নির্জন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। নিজের বাড়িতেই তারা গড়ে তুলেছে ছোট্ট কাগুজে মন্ডপ। সেখানেই এঁকে ‘গড়া’ মায়ের প্রতিমায় খেলার ছলে পূজা দিচ্ছে নিয়মিত। বাড়ির লোকজনও বিষয়টি বেশ উপভোগ করছে।

দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার সড়ক বাজারে ধ্রুব ও নির্জনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পূজোর ভিন্ন আমেজ। দু’জনের ঘরে আলাদা করে রাখা হয়েছে বানানো মন্ডপ ও প্রতিমা। মন্ডপে মন্ডপে প্রতিমা দর্শন করে এসেই নিজেদের বানানো প্রতিমায় পূজার প্রস্তুতি তাদের। সে কি আনন্দ নিজেদের মন্ডপকে ঘিরে। জানতে চাইতেই দু’জনের মুখে রাজ্যের হাসি।

দু’জনে কাগজে এঁকেছে দুর্গা প্রতিমা। কাগজ দিয়েই তৈরি করেছে মন্ডপ। অন্যসব মন্ডপের মতোই নানা ডিজাইনের ভিতর দিয়ে সেখানে প্রবেশের ব্যবস্থা চিহ্নিত করা আছে। ধ্রæব’র মন্ডপের নাম দেওয়া হয়েছে চন্দ্রপুর দুর্গাপূজা, নির্জনের মন্ডপের নাম দেওয়া হয়েছে শান্তিপুর দুর্গাপূজা। আগতদের স্বাগত জানিয়ে মন্ডপের প্রবেশমুখে শারদীয় শুভেচ্ছা লেখা আছে।

ধ্রুব’র বাবা স্বদীপ বনিক প্রয়াত। তার মা শিউলী বনিক জানালেন, পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে সে এগুলো এঁকেছে। চিত্রকর্মে কোনো ধরণের হাতেখড়ি না থাকলেও ছোটবেলা থেকেই এসবের প্রতি তার আগ্রহ। কয়েকদিন আগে সে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি আঁকলে সবাই অবাক হয়। পূজার এ মন্ডপ আঁকা দেখেও সবাই অবাক। 

নির্জনের বাবা সাংবাদিক জুটন বনিক ও মা ফাল্গুনি বনিক বলেন, ‘তারা দুই ভাই মিলে মন্ডপের যে কাজগুলো করেছে তাতে তারা সবাই মুগ্ধ। ষষ্ঠীর দিন থেকেই তারা সেখানে খেলার ছলে পূজা দিচ্ছে। বিষয়টি বাড়ির সবাই উপভোগ করছে।’

তাদের পিসি প্রভাতী বনিক দীপা বলেন, ‘পূজার প্রায় ১০-১৫ দিন আগে থেকেই তারা এ কাজে হাত দেয়। নাওয়া-খাওয়া ভুলে তাদের দিনভর পরিকল্পনা ছিলো পূজার মন্ডপ আর প্রতিমা বানানো নিয়েই। তাদের কাজগুলো দেখতে খুবই সুন্দর। একেবারে নিখুঁতভাবে তারা প্রতিমা ও মন্ডপ ফুটিয়ে তুলেছে।’

কথা বলে ধ্রুব বলে, ‘এমনিতে চিত্রাংকন শেখা হয়নি। নিজে যেভাবে মনে ধরেছে সেভাবেই এঁকেছি। মহালয়ার সময় থেকে বেশ জোরেশোরে কাজ শুরু হয়।’ নির্জন জানায়, কাগজ দিয়ে প্রতিমা ও মন্ডপ বানাতে পেরে তার ভালো লাগছে।’    

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads