• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

ভোটের আগেই চেয়ারম্যান হচ্ছেন আওয়ামী লীগের ১৩ প্রার্থী

  • রাহাত মামুন, চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত ২৩ অক্টোবর ২০২১

আসন্ন ইউপি নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার সারাদিন দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেছেন। এতে সীতাকুণ্ডে সদস্য পদে ২ প্রার্থী; মীরসরাইয়ে ১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৫ জন মেম্বার প্রার্থী; ফটিকছড়িতে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৮ জন এবং নাইক্ষ্যংছড়িতে কাগজপত্রে ক্রটি থাকায় ১ জন ইউপি সসদস্য পদপ্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

সীতাকুণ্ডে ২ প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা

সীতাকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত (নারী) পদে মোট ৪৩২ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে উপজেলা নির্বাচন কমিশন। উপজেলা নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৯১টি পদের বিপরীতে ৩৫০ জন এবং সংরক্ষিত (নারী) পদে ২৭টি পদের বিপরীতে ৬৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাই শেষে বাড়বকুণ্ড ও সোনাইছড়ি ইউপিতে সাধারণ সদস্য পদে ২ জনের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করেন।

সীতাকুণ্ডের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সৈয়দপুরে তাজুল ইসলাম নিজামী, কুমিরায় মোরশেদ হোসেন চৌধুরী, সোনাইছড়ি মনির আহমেদ এবং মুরাদপুরে এস এম রেজাউল করিম বাহার একক প্রার্থী হিসেবে তাদের মনোনয়ন বৈধ হওয়ায় তারা নির্বাচিত হয়েছেন। একইভাবে ১ নম্বর সৈয়দপুর ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী পদে ১, ২, ৩ আসনে খালেদা আক্তার শিপু, ২ নম্বর বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের সংরক্ষিত (নারী) ১, ২, ৩ আসনে জোসনা আরা বেগম, সাধারণ সদস্য পদে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রফিউজ্জামান, ভাটিয়ারী ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ পদে মাঈন উদ্দিন এবং ৪ নম্বর মুরাদপুর ইউনিয়নে সংরক্ষিত (নারী) ৭, ৮, ৯ আসনে রিজিয়া সোলতানা, কুমিরা ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী পদে ১, ২, ৩ আসনে মনোয়ারা বেগম এবং ৭, ৮, ৯ আসনে ফাতেমা আক্তার একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মীরসরাইয়ে ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল

মীরসরাইয়ে ইউপি নির্বাচনে যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল চেয়ারম্যান পদে ২৭ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৫৯৮ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২৬ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন ১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৫ জন মেম্বার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিন চেয়ারম্যান পদে ২৮ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১২৭ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৬০২ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন।

মীরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইন জানান, ১৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজাম উদ্দিনের সমর্থনকারীর স্বাক্ষর জাল হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে হিঙ্গুলী ইউনিয়নে ১ জন, সাহেরখালী ইউনিয়নে ১ জন, ধুম ইউনিয়নে ২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। সংরক্ষিত সদস্য পদে ওয়াহেদপুর ইউনিয়নে ১ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। এদিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাচাই শেষে ১০ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত একক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় জয়ের পথে রয়েছেন তারা।

ফটিকছড়িতে মনোনয়ন বাতিল ৮ প্রার্থীর

ফটিকছড়িতে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৮ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার ১২ ইউনিয়নের দাখিলকৃত প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে এ ৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঋণ খেলাপির কারণে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন চেয়ারম্যান পদে বখতপুর ইউপির মো. ফারুকুল আজম, আবদুল্লাহ পুর ইউপির নাসির উদ্দীন মহসিন, লেলাং ইউপির আবুল কালাম আজাদ।

এছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনের লেলাং ইউপির ১, ২, ৩নং ওয়ার্ডের আনু রানী রায়, সাধারণ সদস্য পদে পাইন্দং ৯ ওয়ার্ডের মোশারফ হোসেন, হারুয়ালছড়ি ২নং ওয়ার্ডের ফোরকান উদ্দিন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলাউদ্দিন। নির্বাচনী আইন অনুায়ী বয়স কম হওয়ায় এসব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এছাড়া মনোনয়ন ফরমে প্রার্থীর স্বাক্ষর না থাকায় সমিতির হাট ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জাফর এর মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

নাইক্ষ্যংছড়িতে মনোনয়ন বাতিল ১ প্রার্থীর

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় অনুষ্ঠেয় ২ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান-মেম্বার পদের ৭৭ প্রার্থীর মধ্যে ৭৬ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৈধ প্রার্থীর মধ্যে চেয়ারম্যান ৫ জন এবং পুরুষ ও মহিলা সদস্য পদে মোট ৭১ জন প্রার্থী রয়েছেন। তবে কাগজপত্রে ক্রটি থাকায় ১ জন মেম্বার পদ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নিবার্চন অফিসার আবু জাফর ছালেহ বলেন, বাইশারীতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৩ জন। তারা হলেন, নৌকা প্রতীকের মো. আলম কোম্পানী, বিদ্রোহী প্রার্থী আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গির আলম বাহাদুর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হাকিম।

দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেন ২ জন। তারা হলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে মো. ইমরান মেম্বার, বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাবিবুল্লাহ।

চট্টগ্রামে ভোটের আগেই চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের ১৩ প্রার্থী

দ্বিতীয় দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের উপজেলার ১৩ আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। মূলত তাদের সঙ্গে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ড উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৩টিতে একক প্রার্থী হওয়ায় তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নে এইচএম তাজুল ইসলাম নিজামী, মুরাদপুর ইউনিয়নে এসএম রেজাউল করিম, কুমিরা ইউনিয়নে মো. মোরশেদ হোসেন চৌধুরী ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নে মনির আহমদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

এছাড়া মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নে এনায়েত হোসেন, ধুম ইউনিয়নে আবুল খায়ের মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ওসমানপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মফিজুল হক, কাটাছড়া ইউনিয়নে রেজাউল করিম চৌধুরীর হুমায়ুন, মঘাদিয়া ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর হোসাইন, মায়ানি ইউনিয়নে কবির আহমদ নিজামী, সাহেরখালী ইউনিয়নে মো. কামরুল হায়দার চৌধুরী, হাইতকান্দি ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ইছাখালী ইউনিয়নে মো. নুরুল মোস্তফা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads