• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
যুবকের হাত পায়ের রগ কেটে নদীতে নিক্ষেপ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

নির্বাচনী সহিংসতা

যুবকের হাত পায়ের রগ কেটে নদীতে নিক্ষেপ

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩১ অক্টোবর ২০২১

বগুড়ার শিবগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এক যুবকের হাত ও পায়ের রগ কেটে নদীতে ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ২০টি বসতঘর।

শিবগঞ্জের বিহার ইউনিয়নের হাটে রোববার সকালে এই ঘটনা ঘটে। আহত যুবককে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।

আহত যুবকের নাম রবিউল ইসলাম। তিনি বিহার ইউনিয়নের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী মইদুল ইসলাম রবিউলের ভাই শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি। স্থানীয়রা জানান, রবিউলের পরিবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মতিউর রহমানের সমর্থক।

স্থানীয়রা জানান, রবিউলের পরিবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মতিউর রহমানের সমর্থক।

রবিউলের ভাই বিহার ইউপি সদস্য আবু রায়হান জানান, এবার ভোটে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই মইদুল ও তার কয়েকজন ক্যাডার গ্রামে গ্রামে তান্ডব শুরু করে। গত ১৭ অক্টোবর রাতে তারা বিহার হাটে অবস্থিত বিদ্রোহী প্রার্থীর মোটরসাইকেল মার্কার অফিসে হামলা চালিয়ে ২জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে এবং হাটের ওপরে দুটি দোকান ভাঙচুর করে। ওই ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হলেও পুলিশ কোন আসামীকেই গ্রেপ্তার করেনি, এমনকি আসামীরা জামিনেও ছিলো না। রোববার সকাল থেকে তারা বিহার বাজারে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মারপিট শুরু করে। পরে সম্মিলিতভাবে তাদের বাধা দিলে তারা বাজার ছেড়ে বিভিন্ন পাড়ায় ঢুকে তান্ডব শুরু করে। এক পর্যায়ে তার বাড়িতে হামলা করে সেখানে থাকা তার ভাই রবিউলকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই হাত ও ডান পায়ের রগ কেটে দিয়ে নাগর নদীতে তাকে ফেলে দেয়। একই সময় তাদের গ্রাম মোন্নাপাড়ার অন্তত ৬টিসহ আশপাশের অন্তত ২০টি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

রায়হান জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে তার ভাই শিমুলকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে মুমুর্ষ অবস্থায় মইদুল ও তার সহযোগিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ফেলে দেয়। সেখানেই মারা যায় শিমুল। ওই মামলায় প্রধান আসামী মইদুল চেয়ারম্যান। এদিকে এবার নির্বাচনে তার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।

এবিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মইদুল ইসলামের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পরপরই শিবগঞ্জ হাসপাতাল এলাকায় মইদুলকে আটকে অভিযান চালানো হয়। এসময় তিনি তার মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads