• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সন্ধ্যায় ভিড় জম‌ছে পিঠা দো‌কা‌নে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সন্ধ্যায় ভিড় জম‌ছে পিঠা দো‌কা‌নে

  • প্রকাশিত ০৯ ডিসেম্বর ২০২১

ফাতেমা শবনম, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)

শীতকালে দেশজুড়ে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ে প্রতিবছরই। শীতের পিঠাপুলি বাঙালির আদি খাদ্য সংস্কৃতির একটি অংশ। শীত এলেই গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে ধুম পড়ে যায় নানান রকমের পিঠা তৈরিতে। এখন সেই পিঠা পাওয়া যায় কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় বাজা‌রে ও গ্রামের মো‌ড়ে মো‌ড়ে। দে‌শে শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন থাকলেও ‌পিঠার দোকা‌নগুলোতে সব ধর‌নের পিঠা পাওয়া যায় না। ত্রিশাল উপজেলার পিঠার দোকানগুলোতে কয়েক ধরনের পিঠা পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে- ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম-চিতই পিঠা, মেরা পিঠা ইত্যাদি। সেইসঙ্গে পিঠা বিক্রি হয় খেজুর রস, শুঁটকি, মরিচ, ধনে পাতা, কা‌লি‌জিরা, স‌রিষাসহ হরেক রকমের ভর্তা দিয়ে। একেক ধরনের পিঠার দাম হয় একেক রকম। সাধারণত চিতই পিঠা ১০ টাকা, ডিম-চিতই পিঠা ২০ টাকা, ভাপা পিঠা ১০ টাকা ও মেরা পিঠা ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শী‌তের পিঠা খে‌তে বাজা‌রের দোকানগু‌লো‌তে প্রতি‌দিন সন্ধ‌্যায় ভিড় করছে ‌পিঠা প্রেমিরা। দোকানগু‌লো বিকাল থে‌কে শুরু ক‌রে চ‌লে মধ‌্যরাত পর্যন্ত। এ সময় প্রচণ্ড ব্যস্ততায় কা‌টে দোকা‌নে কর্মরত লোক‌দের। পিঠা ব্যবসায়ীরা চুলোর পাশে বসে পিঠা তৈরিতে কাটান ব্যস্ত সময়। দোকানের চার পাশ ঘিরে পিঠাপ্রেমিরা শীতকালীন পিঠার অর্ডার দিয়ে অপেক্ষা করেন। কেউ বসে আবার কেউবা দাঁড়িয়ে।

পিঠা ক্রেতা হা‌বিবুর রহমান ব‌লেন, কাজের ফাঁকে সময় পেলেই সন্ধ্যায় পিঠা খেতে ছুটে আসি। নিজেকে চাঙ্গা করার জন্য বন্ধুদের নিয়ে সন্ধ্যায় আসি পিঠা খেতে। পিঠা ছাড়া আড্ডা জমেই না।

দ‌রিরামপুর বসস্ট‌্যান্ড এলাকার পিঠা ব্যবসায়ী চানু মিয়া বলেন, প্রতিদিন বিকাল বেলায় দোকান নিয়ে বসি। বেশ কয়েক বছর থেকে পিঠা বিক্রি করে আসছি। শুরুতে একলা পিঠা তৈরি করে পিঠা বিক্রি করলেও বর্তমানে ক্রেতার চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানে কর্মচারী রাখতে হচ্ছে। প্রতিদিনই ভালো লাভ হয়। তিন থেকে চার মাস শীতের সময় পিঠার ভালো ব্যবসা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads