• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ভবদহ অঞ্চলে গো-খাদ্য সংকট

বিভিন্ন এলাকা থেকে গো-খাদ্য বিচালী (খড়) মজুদ করা হচ্ছে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ভবদহ অঞ্চলে গো-খাদ্য সংকট

  • জাহাঙ্গীর আলম, মনিরামপুর (যশোর)
  • প্রকাশিত ০৫ জানুয়ারি ২০২২

তীব্র গো-খাদ্য সংকটে পড়েছে ভবদহ বিল পাড়ের গ্রামগুলোর মানুষ। বিল পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ধানের আবাদ না হওয়ায় ভবদহ অঞ্চলে গো-খাদ্য সংকটের কারণ বলে এলাকাবাসি মনে করছেন। মুষ্টিমেয় বাড়ির গোয়াল ঘরে কিছু গরু থাকলও শীত মৌসুমে বাড়ি-ঘর থেকে পানি সরায় মানুষের পাশাপাশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ভবদহ বিল পাড়ের গবাদি পশুও। এ কারণে ভবদহ অঞ্চলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিচালি (খড়) এনে বিক্রি করা হয়। এ বছর বাড়ি-ঘর থেকে পানি সরায় ভবদহ বিল পাড়ের ৯০ শতাংশ গবাদি পশু বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিন ভবদহ বিল পাড়ের হাটগাছা, সুজাতপুর, ডহরমশিয়াহাটি, বাজে কুলটিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে গেলে মানুষের জীবন-যাপনের করুন চিত্র চোখে পড়ার পাশাপাশি গোয়াল শূন্য চিত্র চোখে পড়ে। এসময় কোনো বাড়িতে ছাগলের দেখা মেলেনি। কিছু বাড়িতে গোয়াল ঘরে গরুর দেখা মিললেও তা পালনে বেগ পেতে হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। বাড়ির উঠানে হাঁটু পানি থাকায় গোয়াল ঘর থেকে গরু কখনোই বের করা হয় না। এর ফলে দিনের পর দিন গোয়াল ঘরে রেখেই গরু লালন-পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

এসময় হাটগাছা গ্রামের মহেনতারা মন্ডল, রেনু মন্ডল, সুজাতপুর গ্রামের পূর্ণিমা মন্ডলসহ একাধিক নারী বলেন, নিজেরা তো কষ্টে আছেন; তারওপর গরু নিয়ে রয়েছেন চরম বিপদে। প্রায় সব গরু বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাড়ির বাচ্চাদের দুধের জন্য গাভি রাখা হলেও তা লাল-পালনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর সঙ্গে গো-খাদ্যের রয়েছে চরম সংকট। বেশি দামে বিচালি কিনে গরু পালতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কুলটিয়া গ্রামের শিক্ষক হরিচাঁদ মন্ডল বলেন, তাদের গ্রামে ছাগলতো নেই; দুই/এক বাড়িতে গরু থাকলেও তা লালন-পালনে চরম কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।

এদিকে ভবদহ এরাকায় বছরের পর ধানের আবাদ না হওয়ায় বিচালির (খড়) চরম সংকট রয়েছে। এ কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিচালি এনে এখানে চড়া দামে বিক্রি করা হয়। বাধ্য হয়ে কিনতে হয় এলাকার ভূক্তভোগিদের।

সপ্তাহের প্রতি রোব ও বুধবারে মশিয়াহাটি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিচালির হাট বসে। বিচালি বিক্রি করতে আসা খেদাপাড়া গ্রামের বাবলুর রহমান বলেন, এখন সবখানে বিচালির সংকট। তারা রাজশাহী, নওগাঁ থেকে বিচালি কিনে এখানে বিক্রি করছেন। প্রতি কাউন (১৬ পনে এক কাউন) ছয় হাজার থেকে সাত হাজার টাকা বিক্রি করে থাকেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী বলেন, ভবদহ বিলপাড়ের গ্রামগুলোতে গবাদি পশু নেই বললেই চলে। যা ছিল গেলো বারের বৃষ্টির পর বিক্রি করে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads