• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
'এমন ঠান্ডায় বাঁচি কেমন করি বাবা'

ফাইল ছবি

সারা দেশ

'এমন ঠান্ডায় বাঁচি কেমন করি বাবা'

  • নীলফামারী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ জানুয়ারি ২০২২

পৌষের শেষে নীলফামারীতে ফের জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। সন্ধ্যা নামলে ঘরমুখি হয়ে পড়ছে পথচারীরা। দিনব্যাপী মিলছে না সূর্যের দেখা। হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে দূরপাল্লার যানবাহন। জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বাহালীপাড়া গ্রামের (সরকার পাড়া) ষাটর্দ্ধো জব্বার আলী শীতে থঁরো থঁরো কেপে বলেন, ‘জীবনে এমন ঠান্ডা দেখ নাই বাবা। ভাঙা ঘরোত শীতে বিছানা বালিশ ভিজি যায়। যে কাইত ঘোরে সেই কাইতে ঠান্ডা নাগে। বাঁছিবার কোন পথ নাই’। এদিকে, জেলার ডিমলা ও সৈয়দপুরে গত দুই দিনের তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে, যথাক্রমে মঙ্গলবার ও বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল বৃহস্প্রতিবার সীমান্তবর্তী জেলার ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ২৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, তাপমাত্রার এমন বাড়া কমায় কখনো সুর্যের দেখা মিলছে, আবার সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে। এই অবস্থা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমজীবী, কৃষিশ্রমিক, ভ্যানচালক, রিকশাচালক, অটোচালক স্কুলগামী শিশু, নবজাতক ও বয়স্করা পড়েছে বিপাকে। এদিকে, স্থানীয় হাসপাতালে শীতজনিত রোগে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে অধিকাংশই নিউমোনিয়া ও সর্দি জ্বরে আক্রান্ত। জেলা শহরের বড় বাজার রিকশাস্যান্ডের ভ্যানচালক ফোরকান আলী বালু (৪৭) বলেন, ‘গত তিনদিন ধরে ঠান্ডা বাতাসে হাত পা কনকন করে। ভ্যানের হ্যান্ডেল ধরা যায় না। ভ্যান নিয়ে রাস্তাত গেলেও ভাড়া পাওয়া যায় না। শহরত মাইনসে নাই। আগত যেটে সারাদিন কামাই হছিল ৪৫০-৫০০ টাকা। তারপর মালিকের ভ্যানের জমাতো আছেই। এখন ৫০ টাকাও কামাই নাই। এমন ঠান্ডায় বাঁচি কেমন করি বাবা।’

-

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads