• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
সবুজ-বেগুনি রঙে একাকার প্রকৃতি

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

সবুজ-বেগুনি রঙে একাকার প্রকৃতি

  • প্রকাশিত ০৭ জানুয়ারি ২০২২

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 

বাঁশখালীতে শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। যেদিকে তাকাই সেদিকেই সবুজ-বেগুনী রংয়ের শিম ফুলে প্রকৃতি যেন একাকার। শীত মৌসুমের শুরুতে মনোরম শিমের ফুলে ভরে উঠেছে মাঠ-ঘাট, খাল-বিল ও ঘের-পুকুরের পাড়। শিমের বাম্পার ফলন ও শিমের ভালো বাজার মূল্য থাকায় উপজেলার শিম চাষিদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ঝিলিক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কালিপুর, সাধনপুর, পুকুরিয়া, বৈলছড়ি, জলদি, শিলকুপ, চাম্বল, শেখেরখীল ও পুইছড়ি জুড়ে শুধু শিম আর শিম। বাঁশখালীর প্রধান সড়কের চার পাশের শিম চাষও যেন এক অপরুপ সৌন্দর্য। অন্যান্য সবজি ক্ষেত, ধান ও মাছের ঘেরের আইলেও করা হয়েছে শিম চাষ। পাহাড়ি এলাকাগুলোতেও শুধু শিম আর শিম চাষ। চাষিরা ক্ষেত থেকে প্রতিদিন দফায় দফায় তুলছেন শিম। এতে চাষিরা মহাখুশি। ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত প্রায় একই রকম ফলন হবে।

শিমচাষিরা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর শিমের ভালো ফলন হয়েছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় দামও বেশি। বাজারে শিমের চাহিদা বেশি থাকায় পাইকারদের শিম দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চাষিদের। বর্তমানে খুচরা ও পাইকার বাজারে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা মৌসুমের শুরুতে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হত বলে জানায় তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ছালেক বলেন, এবার বাঁশখালীতে প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে ২০ টন করে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার টন শিম উৎপাদন হয়। এবার সবুজ-বেগুনি ও লাল ফুল জাতের শিম বেশি চাষ করেছে চাষিরা। তিনি বলেন, দেশে পঞ্চাশটিরও বেশি স্থানীয় শিমের জাত আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বাইনতারা, হাতিকান, চ্যাপ্টা শিম, ধলা শিম, পুটি শিম, ঘৃত কাঞ্চন, সীতাকুন্ডু, নলডক ইত্যাদি। বারি শিম ১, বারি শিম ২, বিইউ শিম ৩, ইপসা শিম ১, ইপসা শিম ২, একস্ট্রা আর্লি, আইরেট ইত্যাদি আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত।

-

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads