• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
৯ মাসেও সন্ধান মেলেনি সিজানের

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

৯ মাসেও সন্ধান মেলেনি সিজানের

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ জানুয়ারি ২০২২

সিজানের বয়সের ছেলেদের দেখলেই সিজানের মায়ের বুক ফেটে যায়। সিজানের জন্য কেঁদে কেঁদে তার চোখের নিচে কালো দাগ পড়েছে। ছেলের খোঁজে কত জায়গায় ছুটে গেছেন। গত নয় মাসেও সিজানের খোঁজ মেলেনি। থানায় জিডি হয়েছে। সিজানের বাবা নাসির শিকদার ছেলের খোঁজে থানায়ও ধরনা দিয়েছে। গরিব মানুষ, এক দিন কাজে না গেলে হেঁসেলে হাঁড়ি ওঠে না। তাই নাসির সিকদারের পক্ষে নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে পুলিশের সঙ্গে লেগে থাকা সম্ভব হয়নি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। নয় মাসেও খোঁজ মেলেনি বলে প্রশ্ন উঠেছে সিজান কী বেঁচে আছে? না তাকে পাচার করা হয়েছে? না কী সে আত্মগোপন করে আছে?

জানা গেছে, ১৩ বছর বয়সের সিজান বগুড়া শহরের হাকির মোড় এলাকায় জহুরুল ইসলাম বাপ্পীর মালিকানাধীন ‘জ্যোতি জান্নাতি এন্টারপ্রাইজ’ নামে অটোরিকশা মেরামতের দোকানে কাজ করতো। সিজানরা শহরের শিববাটি পাড়ার কোরবান আলীর বাসার ভাড়াটিয়া। গত ১ এপ্রিল সে ওই বাসা থেকে তার কর্মস্থল হাকির মোড়ে অবস্থিত জহুরুল ইসলাম বাপ্পীর অটোরিকশা মেরামতের দোকানে যায়। প্রতিদিন দুপুরে ওই গ্যারেজ মালিকের বাসায় সে ভাত খেতো। ওই দিনেও দুপুরে সে তার মালিকের বাসায় খাওয়া দাওয়া করেছে। প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে বাড়িতে না ফিরলে সিজানের বাবা তার ছেলের সন্ধ্যানে দোকান মালিকের কাছে যায়।

দোকান মালিক সিজানের বাবা নাসির সিকদারকে জানান, তার ছেলে সাতদিন ধরে কাজে আসেনি! সিজান নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা নাসির সিকদার থানায় জিডি করেন। জিডির সূত্রে প্রাথমিক তদন্তে নেমে ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নজরুল ইসলাম জানতে পারেন অটোরিকশা মেরামতের দোকানের মালিক জহুরুল ইসলাম বাপ্পীর সাতদিন ধরে সিজানের দোকানে না যাওয়ার কথা বলা ঠিক ছিল না। ওই দোকানের আশপাশের দোকানদাররা সিজানকে নিয়মিত অটোরিকশা মেরামতের দোকানে আসা যাওয়া করতে দেখেছেন। ঘটনাটি পুলিশে গড়ালে জহুরুল ইসলাম বাপ্পী তার অটোরিকশা মেরামতের দোকান বিক্রি করে দেয়। আরও আশ্চর্যের বিষয় তার দোকান লুটপাটের অভিযোগে নিখোঁজ সিজানের বাবা নাসির সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এসব ঘটনায় সিজানের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সিজান কি সত্যই নিখোঁজ হয়েছে? না পাচারের শিকার হয়েছে?

ফুলবাড়ী ফাঁড়ির এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে। এখনো তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads