• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ভৈরব-রূপসা নদীর তীরে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

ভৈরব-রূপসা নদীর তীরে সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা

  • প্রকাশিত ১৫ জানুয়ারি ২০২২

তিতাস চক্রবর্তী, খুলনা

খুলনার ভৈরব নদ ও রূপসা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উদ্ধারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২৫টি মৌজার মধ্যে ১০টি মৌজায় প্রথম উচ্ছেদ অভিযান চলবে। এ ১০টি মৌজার এক হাজার ২৭৪ জন অবৈধ দখলদারকে চিঠি দেওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নৌ-বন্দর পরিবহন কর্তৃপক্ষ খুলনার উপ-পরিচালক আ. রাজ্জাক।

জানা গেছে, দীর্ঘ বছর ধরে খুলনা নগরী ও জেলার কিছু অংশ এবং পার্শ্ববর্তী অভয়নগর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় ভৈরব নদ দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। স্থায়ী ও অস্থায়ী নির্মাণ রয়েছে এসব এলাকায়। তবে ভৈরব নদের খুলনা নগরীর খালিশপুর থেকে জেলখানা ঘাট ও রূপসা নদীর কাস্টমঘাট এলাকা থেকে খানজাহান আলী সেতু দখলদারদের কারণে ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে নদীর সীমানা। ভৈরব নদের দৈর্ঘ্য ১শ ৪২ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ ৬০ মিটার হলেও দক্ষিণ-পশ্চিমে (খুলনা) ভৈরব নদের প্রস্থ ৬৮ মিটার। বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রস্থ অর্ধেকে নেমে এসেছে। দীর্ঘ দিন ধরে নদের দুপাশে অবৈধ স্থাপনাই এর অন্যতম কারণ বলে জানালেন নৌ-বন্দর পরিবহন কর্তৃপক্ষ খুলনার উপ-পরিচালক আ. রাজ্জাক।

খুলনা নগরীর বিশেষ করে শিল্পাঞ্চল হিসাবে খ্যাত খালিশপুর ও দৌলতপুরের এলাকার ভৈরবের দুপাশ দখল করে রেখেছে প্রভাবশালী মহল। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)-এর খুলনার কার্যালয়ের পূর্ব পাশ থেকে কাস্টমস ঘাট পর্যন্ত দখল করে আছে বিভিন্ন শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। বড়বাজার এলাকায় ভাটার সময় মনে হবে প্রমত্ত ভৈরব যেন একটা খাল। এ নদের নাব্য হ্রাসের কারণে এক সময়ে বড় বড় জাহাজগুলো ৪নং ঘাটে নোঙ্গর করলেও এখনা সেগুলো ভৈরব ও রূপসার মোহনায় নোঙ্গর করা হয়।

গত ২২ ডিসেম্বর খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের লক্ষে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ভৈরব নদ ও রূপসা নদীর দুপাশের অবৈধ দখলদারদের তালিকা অনুযায়ী ১ হাজার ২ শত ৭৪ জনকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোট ২৫টি মৌজায় অবৈধ দখলদারের মধ্যে আপাতত : ১০টি মৌজায় উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মৌজাগুলোর মধ্যে রয়েছে, বানিয়াখামার, হেলাতলা, পুটিমারি, লবনচরা. গোয়ালপাড়া, পাবলা, দৌলতপুর, মহেশ্বরপাশা, মীরেরডাঙ্গা ও শ্যামগঞ্জ। অবৈধ স্থাপনার মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ভৈরব নদের খুলনার অংশে বিশেষ করে সদর হাসপাতাল ঘাট এলাকা থেকে কাস্টমস ঘাট এলাকা পর্যন্ত ইট-বালু ব্যবসায়ীরা দখর করে রেখেছে। ইট-বালু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশরাফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছ থেকে লিজ নিয়ে তারা ব্যবসা করছেন। তবে দুই বছর তাদের কাছ থেকে লিজের টাকা নেওয়া হয় না উন্নয়নের স্বার্থে সরকারের চিঠি পেলেই তারা ব্যবসা ছড়িয়ে ফেলবে।

নৌ-বন্দর পরিবহন কর্তৃপক্ষ খুলনার উপ-পরিচালক আ. রাজ্জাক বলেন, অবৈধ দখলদারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগির উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads