• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
সন্তানের স্মৃতি এখন লক্ষ্মী রানীর সম্বল

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সন্তানের স্মৃতি এখন লক্ষ্মী রানীর সম্বল

  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০২২

নির্ঝর কান্তি বিশ্বাস ননী, বামনা (বরগুনা) 

এক মাস পূর্বে স্বপ্ননীল আর প্রত্যয় এই দুই ছেলেকে নিয়ে অভিযান ১০ লঞ্চে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন মা লক্ষ্মী রানী। রাত ৩টায় লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ছোট ছেলে প্রত্যয় হাওলাদারকে নিয়ে মা লক্ষ্মী রানী কোনো মতে লাফিয়ে বাঁচলেও বড় ছেলে স্বপ্ননীল হাওলাদার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নদীতে ঝাপ দিলে তার সলিল সমাধী হয়। উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র স্বপ্ননীল হাওলাদারকে হারিয়ে মা লক্ষ্মী রানী এখনো শোকে স্তব্দ। হিন্দু শাস্ত্রমতে সন্তানের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে শূন্য হাতে তারা ফিরে গেছেন কর্মস্থল ঢাকার উত্তরায়। এখনো বড় সন্তান স্বপ্ননীলের স্মৃতি মা-বাবাকে কাঁদায়। মাঝে মাঝে স্বপ্ননীলের ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র বুকে আকড়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদেন সঞ্জীব হাওলাদার ও লক্ষ্মী রানী দম্পত্তি।

মোবাইল ফোনে কথা হয় লক্ষ্মী রানীর সঙ্গে, ফোনে পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এমন দিনে আমার ছেলেটা পড়ার টেবিলে বসা ছিল। আমি নুডুলস দিয়েছি ও খেয়েছে। আজ সেই টেবলিটি আছে আমার ছেলেটা নেই। আমার ছেলেটা যদি সাঁতার জানতো তাহলেও হয়তো ও মারা যেতো না। এখন ওর স্মৃতিই আমার একমাত্র সম্বল। প্রতিদিন সকাল হলে ওর ব্যবহারের সকল কিছু বুকে আঁকড়ে ধরে কাঁদি, ওর শূন্যতা ভুলতে পারি না।’

এদিকে অভিযান-১০ ট্র্যাজেডির এক মাস অতিবাহিত হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে উপজেলার গোলাঘাটা গ্রামের বৃদ্ধ হামিদ হাওলাদার (৬৫)। পরিবারের স্বজনরা এখনো জানেনা সে আদৌ বেঁচে আছেন না মরে গেছেন। বৃদ্ধা মইফুল বেগম বলেন, ‘তোমরা আমার স্বামীর আর কিছু না পেলেও অন্ততো হাড়গোর এনে দেও। মুই একটু স্বামীর কবরটা দেখে মরতে চাই। মোর আর কিছু চাওয়া পাওয়ার নেই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads