• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

সারা দেশ

তুরাগে হত্যাকান্ডের ঘটনাকে অপমৃত্যু হিসেবে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ, আটক ১

  • তুরাগ (উত্তরা)প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ জানুয়ারি ২০২২

রাজধানীর তুরাগের বামনারটেক এলাকায় একটি হত্যাকান্ডের ঘটনাকে অপমৃত্যু হিসেবে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তুরাগ থানার ওসির বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, পুলিশ মামলাটি নিয়ে প্রথমে গড়িমসি করে ভিন্ন খাতে নিতে চায়। তাদের অপমৃত্যু নিয়ে লেখার কপিটি সংবাদকর্মীদের হাতে চলে আসে। পরে সংবাদকর্মীদের চাপে পড়ে সেটি হত্যা মামলা নিতে বাধ্য হয় তুরাগ থানা পুলিশ। যার মামলা নম্বর-৩৫। এবং অভিযুক্ত স্বামী হাসেম (৪৩)কে গ্রেপ্তার করে।

হত্যার শিকার তরুনীর পরিবারের দাবী তার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, রাজধানীর তুরাগের বামনারটেক এলাকায় ১০ তলা ভবনের ছয় তলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সংবাদকর্মীদের সত্য সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেয় কিশোর গ্যাং লিডার নিলয় ও আরিফসহ কয়েকজন।

গতকাল বুধবার (২৬জানুয়ারি) রাত ৯ টার সময় পুলিশের উপস্থিতিতে হামলার ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, বামনারটেক ১০ তলা ভবনে একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনাটির বিষয়ে জানতে পেরে স্হানীয় পত্রিকার প্রতিনিধি মিরাজ শিকদার ও মাহমুদুল হাসান আশিক নামের দু'জন ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে ভবনটিতে প্রবেশ করলেই কিশোর গ্যাংয়ের ৬ থেকে ৭ জন সদস্য তাদের হামলা করেন।

নিহত যুবতী জান্নাতুল ফেরদৌস(২৪) এর মা জানান, "আমার মেয়ে কাকলীকে হত্যা করে এখন বলা হচ্ছে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমার মেয়ের সাথে আমরা যোগাযোগ করতে পারছি না। হত্যাকারী আবুল হাসেম ও তার পরিবার।আমার মেয়েকে তারা মেরেছে আমি এর সুস্থ বিচার চাই।"

ভবনটির সংবাদকর্মীরা ঘটনাটি যে ফ্ল্যাটে ঘটেছে সেই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে হত্যাকারী অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তার হওয়া কথিত স্বামী মো.আবুল হাসেমের ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার আরিফ ও তার পরিবার সংবাদকর্মীদের বার বার বাধা ও বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন।

অতঃপর গ্রেপ্তারকৃত আসামী হাসেমকে পুলিশ ভ্যানে উঠানোর সময় ভিডিও ফুটেজ নিচ্ছিলেন উপস্থিত স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক মিরাজ শিকদার ও মাহমুদুল হাসান আশিক। এটি দেখে কিশোর গ্যাং লিডার নিলয় ও আরিফের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা করে তাদের ক্যামেরার ব্যাগ ও ক্যামেরা নিয়ে যায়।আহত সাংবাদিক দের দাবি পুলিশের এমন আচরণের সুযোগে হামলাকারীরা আবারও হামলা করে তাদের উপর।

আহত সংবাদকর্মীরা জানান, আমাদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়,মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়।

বিষয়টি জানতে পেরে উত্তরায় বসবাসরত সংবাদকর্মীরা থানায় আসে মামলা করার জন্য।কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ ২ ঘন্টা সময় সাংবাদিকদের থানায় প্রবেশ করতে দেয়নি।

অতঃপর প্রায় ৩ ঘন্টা পর একটি অভিযোগ গ্রহণ করেন তুরাগ থানা কর্তৃপক্ষ। থানার সামনে অবস্থানরত সাংবাদিকরা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে হামলাকারীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।

তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, এঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেইসঙ্গে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের করা অভিযোগের ও তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads