• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
 মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিরোধের জেরে মো. হাসান মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের খারকুট গ্রামে পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজন করা সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাসান মিয়ার ছোট ভাই বাবু মিয়া ।

বাবু মিয়া লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ভাই একজন সহজ সরল প্রকৃতির লোক। গত ২৬ ডিসেম্বর মনিয়ন্দ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আমাদের আত্মীয় নুর আলম মিয়ার পক্ষে আমার ভাই হাসান মিয়া কাজ করেন। এজন্য অপর ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম ও তার সমর্থকেরা আমার ভাইয়ের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। নির্বাচনের সময় তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিত। নির্বাচনে আমাদের আত্মীয় পরাজিত হয়। অপর প্রার্থী রফিকুল ইসলাম জয়লাভ করার পরও তার লোকজন আমার ভাইকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। তাছাড়া আমার ভাই এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলতেন। এসব কারণে স্থানীয় মাদককারবারীরাও আমার ভাইয়ের উপর অসন্তুষ্ট ছিল। গত ৪ ফেব্রুয়ারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে আমার ভাইকে আটক করে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার ভাই মাদক বেচাকেনার সাথে কখনও জড়িত ছিল না।

হাসান মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি বিকালে এক আত্মীয়ের লাশ দেখে বাড়িতে ফিরার পথে পথিমধ্যে ৪/৫ জন লোক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে আমাদের সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে আমার স্বামীকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি তারা র‌্যাব সদস্য ছিল। আমার স্বামীর কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে মামলা দিয়েছে র‌্যাব। কিন্তু আমার স্বামী কখনও মাদক বেচাকেনা সাথে জড়িত ছিল না। সব সময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। আটকের সময়ও তার কাছে কোন মাদক ছিল না। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ষড়যন্ত্র করে আমার স্বামীকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমি আমার স্বামীর মুক্তি ও ন্যায় বিচার চাই।

এ সময় হাসান মিয়ার মা হেনা বেগম বলেন আমার ছেলে নির্দোষ। নির্বাচনে একজনের পক্ষে কাজ না করায় তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।

প্রতিবেশী মো: শাহজাহান মিয়া বলেন, হাসান যে মাদক ব্যবসা করে না সেটা গ্রামের সবাই জানে। আর যদি যে ব্যবসা করতো তাহলে বাড়ির দিকে কেন যাবে মাদক নিয়ে।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads