• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
জাজিরায় অপরিকল্পিত সেতুতে জনদুর্ভোগ চরমে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

জাজিরায় অপরিকল্পিত সেতুতে জনদুর্ভোগ চরমে

  • আবুল হোসেন সরদার, শরীয়তপুর
  • প্রকাশিত ১৬ মার্চ ২০২২

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার লাউখোলা বাজার-গজনাইপুর ও খোরাতলা-ছাব্বিশপাড়া এলাকায় ২টি পিসি গার্ডার সেতু অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১০ কোটি টাকা করে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু দুটির উচ্চতা খুবই কম হওয়ায় নৌপথ বন্ধের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। অপরদিকে উঁচু করার অজুহাতে প্রায় ১ বছর ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৩টি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে।

তবে এলজিইডি বলছে, উচ্চতা ৬০০ মিলিমিটার বাড়ানোর রিভাইস করা হয়েছে। ঠিকাদারের সঙ্গে নতুন চুক্তি হলে আবার কাজ শুরু করা হবে।

জাজিরা উপজেলা এলজিইডি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মুলনা, জয়নগর ও সেনেরচর ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অধীনে নির্মিত হচ্ছে লাউখোলা বাজার- গজনাইপুর এলাকায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ২২ মিটার প্রস্থ একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ। এছাড়া উপজেলার একই ইউনিয়নের খোরাতলা-ছাব্বিশপাড়া এলাকায় মরা কীর্তিনাশা নদীর উপরে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮১ মিটার দৈর্ঘ্যে ২২ মিটার প্রস্থের একই প্যাকেজে দুটি ব্রিজ নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে জাজিরা উপজেলা এলজিইডি। মেসার্স হামীম এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। ২০২০ সালের ১৭ আগষ্ট তাদের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। পাইলিংয়ের কাজ শেষ করে ব্রিজ নির্মাণ করার সময় স্থানীয়রা ব্রিজ দুটির উচ্চতা কম হওয়ায় নৌ-চলাচল বন্ধের আশঙ্কা করেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে উঁচু করা হবে বলে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জাজিরার উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের গজনাইপর, চরধুপুরিয়া, চরখামার, সেনেরেচর ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি, বালিয়াকান্দি, মাদবরকান্দি, জয়নগর ইউনিয়নের খোরাতলা, চরখোরাতলা ও বঙ্গবাজারসহ ৩টি ইউনিয়নের ১০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে।

চরখোরাতলা এলাকার আব্বাস আলী মাদবর, মোসলেম মুন্সি, সোহরাব মাদবর, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক মন্সি বলেন, খোরাতলা-ছাব্বিশপাড়া মরা কীর্তিনাশা নদীর ওপর অপরিকল্পিতভাবে ব্রিজ নির্মাণ করছে জাজিরা উপজেলা এলজিইডি। সেতু অনেক নিচু হয়ে গেছে, এর নিচ দিয়ে কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবে না। এ কারণে বছরের পর বছর ধরে ব্রিজ নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই আমাদের দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্রিজের কাজ শেষ হোক।

লাউখোলা-গজনাইপুর এলাকার চান মিয়া খান, ইদ্রিস মাস্টার, মোশারফ সিকদার, সোমা ইসলাম, কামাল সিকদার বলেন, সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করার কিছুদিন পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আমরা খেয়া দিয়ে পারাপার হই। কৃষিপণ্য, রোগীসহ সব রকম যাতায়াতে আমরা খুবই দুর্ভোগে আছি।

শরীয়তপুর জেলা যুবলীগের সদস্য ও সাব ঠিকাদার মো. দেলোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ব্রিজ উচু করতে হবে। জাজিরা উপজেলা এলজিইডি নতুন করে প্রাক্কলন তৈরি করেছে। আমাদের সঙ্গে চুক্তি হলেই আমরা নতুন করে কাজ আবার শুরু করবো।

জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী ইমন মোল্লা বলনে, নৌ চলাচলের সুবিধার জন্য স্থানীয়দের আবেদনের পরিপেক্ষিতে প্রকল্প পরিচালকের অফিস থেকে ৬০০ মিলিমিটার উচ্চতা বাড়ানোর রিভাইস করা হয়েছে। ঠিকাদারের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করা হলেই আবার কাছ শুরু করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads