• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৫ এপ্রিল ২০২২

গাজীপুরের শ্রীপুরে আসামী ধরতে গেলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় চল্লিশ ঘন্টা পর ঘটনার দেড় কিলোমিটার উজানে বানার নদের পানিতে ভাসমান অবস্থায় বরামা সিংহশ্রী সংযোগ সেতুর পাশ থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহটি। রোববার সন্ধ্যায় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে বাড়ির পাশে বরমী ইউনিয়নের বারামা রায়েদ এলাকার বানার নদে (স্থানীয়দের কাছে পরিচিত শীতলক্ষ্যর) ঝাঁপ দেয় মামুন (২৮) নামের ওই যুবক। এরপর কয়েক দফায় নদীর জলে ডুবুরি দল লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে পারেনি। মঙ্গলবার সকালে স্বজনরা খোঁজতে গিয়ে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত মামুন আহমেদ (২৮) বরামা এলাকার কৃষক নুরুল ইসলামের ছেলে। স্বজনদের দাবি, পুলিশ মামুনকে ধরার পর অমানবিক নির্যাতন করেছে। নিরুপায় হয়ে পাশের নদীর পানিতে ঝাঁপ দেয় সে। সেই থেকে নিখোঁজ ছিল মামুন।

পুলিশ বলছে, মামুন একাধিক মামলার আসামী। একটি মামলার পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) ছিল তার নামে। পরে পুলিশ ধরতে গেলে সে কৌশলে পাশের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে পুলিশ।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ যুবকের (মামুন) স্বজনরা বানার নদের বিভিন্ন স্থানে একটি নৌকা নিয়ে খোঁজতে থাকেন। র্দীঘসময় ভাটিটে খোঁজে না পেয়ে উজানে খোঁজতে আসে নিহতের স্বজনরা। এ সময় নদীতে জোয়ার চলছিল। তাই মরদেহ ভাসতে ভাসতে উজানে চলে আসে। ঘটনাস্থলের প্রায় দেড় কিলোমিটার উজানে বরামা সিংহশ্রী সেতুর পাশে কচুরিপানায় আটকে ছিল মরদেহ। পরে স্বজনরা দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেছে।

নিহত মামুনের বড় ভাই মাসুম মিয়া জানান, লাশ উজানের পানিতে ভেসে ছিল। লম্বা সময় পানিতে থেকে মরদেহ ফুলে গেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইয়ের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার দিন পুলিশ বেশ মারধর করেছিল বলে আমরা জেনেছি। এ নির্যাতন থেকে বাঁচতেই নদীর পানিতে ঝাঁপ দেয় সে। কিন্তু শেষমেশ বাঁচতে পারলো না। নদীর পানিতে ডুবে তার করুন মৃত্যু হলো।

শ্রীপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া বলেন, সকালে খবর পেয়ে নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সে অনুযায়ী পুলিশ তাকে ধরতে অভিযানে গেলে সে কৌশলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। তাকে কোনো প্রকার নির্যাতন করা হয়নি বলেও এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads