• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
নরসিংদীতে স্কুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

নরসিংদীতে স্কুলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • নরসিংদী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ এপ্রিল ২০২২

নরসিংদীর রায়পুরায় কোহিনূর জুট মিল হাই স্কুল ঘাগটিয়া ও এর শিক্ষকদের হয়রানির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার সকালে স্কুল প্রাঙ্গনে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান জানায়, ১৯৮১ সালে রায়পুরার গৌরিপুরে শুধু জুট মিলের শ্রমিক ও কমকর্তাদের ছেলে মেয়েদের শিক্ষাদানের জন্য মৌলভী তোফাজ্জল হোসেন প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলটির পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন। কোহিনূর জুট মিলের শ্রমিক নেতাদের আধিপত্য নিয়ে দন্ধ ও খুন খারাপি হলে মিলটি তালা বদ্ধ হয়। পরে স্কুলটির নিজস্ব কোন জমি না থাকায় ২০০৬ সালের শেষের দিকে বিদ্যালয়টিকে গৌরিপুর থেকে ঘাগটিয়া গ্রামে শিক্ষা বিভাগের পতিত জায়গায় স্থানান্তর করেন। ২০০৭ সাল থেকে কোহিনূর জুট মিল হাই স্কুল ঘাগটিয়া যথাযথ সরকারি দপ্তরের অনুমতি ও মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের রায়ের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে স¤পূর্ণ বিনা বেতনে সকল ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান করা হয়। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল যথেষ্ট ভালো প্রতি বছরই ফলাফলের দিক থেকে বিদ্যালয়টি উপজেলায় ২য় স্থান লাভ করে আসছে। আমাদের স্কুলের সফলতায় ইশশারন্বিত হয়ে কিছু মহল আমাদের বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের নামে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো শুরু করেছে। বিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ বিধিবর্হিভূত ভাবে নিয়োজিত শিক্ষক আছমা বেগম ও মোঃ আবদুল মালেক যাদের নিয়োগ কালীন পত্রিকার বিজ্ঞপ্তি, কমিটির রেজুলেশন ও ফলাফল শীট নেই তাহাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট আপত্তিসহ বেতন ফেরতের নিদের্শ রয়েছে। এই দুই শিক্ষক অবৈধভাবে নিয়োজিত থাকার জন্য গৌরিপুরে এখনও স্কুলের কার্যক্রম চালু রেখে আমাদের স্কুলকে অবৈধ প্রচারের চেষ্ঠা চালাচ্ছে।

তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে আমি নাকি ৬৫০ জন শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় টাকার বিনিময়ে পাশ করানোর দায়িত্ব নিয়েছি। প্রকৃত পক্ষে কোনো শিক্ষক বোর্ড পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতে পারে না। এটা করা কখনো সম্ভব না শুধু আমাকে হয়রানি করার জন্য এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে? আর বিদ্যালয়ের জমিটি ভাড়া নেওয়া হয়নি। আবুল হাশেমের নয় কন্যা তাহাদের চাচাতো বোন জামাই হাজী আলাউদ্দিন মিয়ার কাছে ২০০৩ সালে জমিটি বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে তা তিনি বিদ্যালয়ের নামে দিয়ে দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রকৃতপক্ষে দুইটি স্কুলের কোড এক, রেজিস্ট্রেশন এক এবং সকলের শিক্ষকদের বেতনসহ যাবতীয় সকল কর্মকান্ড আমার স্বাক্ষরেই পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু আসমা নিজেকে প্রধান শিক্ষক পরিচয় দিয়ে একটি র্স্বাথান্বেষি মহলের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় কোহিনূর জুট মিল হাই স্কুল ঘাগটিয়া ও এর শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার চালাচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে মহামান্য সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের জাজমেন্ট আদেশসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমি ঘাগটিয়ায় স্কুলটি পরিচালনা করে আসছি। আমি সকল অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে স্কুলের শিক্ষক আছমা বেগমের ব্যবহ্নত মোবাইলে একাধিক কল দেয়া হলেও না ধরার কারণে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোহিনূর জুট মিল হাই স্কুল ঘাগটিয়া এর সহকারী প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব, সিনিয়র শিক্ষিকা জেসমিন আক্তার, সহকারী শিক্ষিকা সুপ্রিয়া সরকার, নাইয়ার সুলতানাসহ প্রমুখ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads