• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

সারা দেশ

আখাউড়ায় গ র গ র শব্দে মুখরিত দর্জি পাড়া

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০২২

সকাল থেকেই গর.গর. শব্দ, শোনা যায় রাত অবধি পযর্ন্ত। এর মধ্যে কেউ সেলাই, কেউ বোতাম, কেউ মাপ ঝোক কাপড় কাটাসহ যে যার মতো কাজ করছেন। প্রতি বছর রমজান মাস এলেই এ ভাবেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন দর্জি ও কারিগররা। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দর্জি ও কারিগররা এক প্রকার ঘুমহীন রাত কাটাচ্ছেন। দিন রাত চলছে তাদের বিরামহীন কাজ। টেবিলের ওপর রাখা আছে বিভিন্ন ডিজাইনের থান কাপড়। এক দিকে চকচকে ধারালো কাঁচির চালান আর অন্য দিকে মেশিনের গর গর আওয়াজ। তৈরী করছেন ছোট বড় নানা বয়সীর পোশাক।

এদিকে পৌর শহরসহ উপজেলার সর্বত্র দর্জি ও কারিগরদের যেন দম ফেলার জো নেই। নিজেদের পছন্দের পোশাক তৈরী করতে দর্জির দোকানগুলোতে নারী পুরুষরা ভিড় করছেন। মেশিনের একটানা শব্দ চলছে সকাল থেকে রাত অবধি। আর এটা চলবে চাঁদ রাত পযর্ন্ত। তাইতো সময় মতো পোশাক ডেলিভারি দিতে দিন রাত চলছে তাদের ক্লান্তিহীন কাজ।

কারিগররা জানায় ঈদ যতই এগিয়ে আসছে ততই তাদের কাজের চাহিদা কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। কোন কোন দর্জির দোকানে কাজের প্রচুর চাহিদা থাকায় মৌসুমী কারিগর ভাড়া করে এনে কাজ করাচ্ছেন। সেই সাথে গ্রামাঞ্চলে গড়ে উঠা দর্জির দোকান গুলোতে সমান তালে অর্ডার নেওয়ার কাজ বাড়ছে।

তবে দর্জির দোকান গুলোতে ব্লাউজ, সেলোয়ার, কামিজ শার্ট প্যান্ট,পাঞ্জাবী, ছোট বাচ্চাদের পোশাকসহ বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষের পোশাক তৈরীর কাজ করছেন । তবে তুলমামূলক ভাবে দর্জির দোকানগুলোতে ছেলেদের ছেয়ে মেয়েদের ভিড়ই বেশী।

গৃহিণী লিমা আক্তার বলেন, এবার ঈদে দুই মেয়েকে ২টি থ্রিপিস কেনা হয়েছে। এই থ্রিপিস তৈরী করতে দর্জির দোকানে আসা। ঈদের দুই দিন আগে থ্রিপিস তৈরী করে দেওয়া হবে বলে কারিগররা জানান।

সাদিয়া আক্তার বলেন, মেয়ের জন্য একটি থ্রি পিস ও ছেলের জন্য একটি শার্ট ও প্যান্ট তৈরী করতে কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় কেনা হয়। সুন্দর করে বানাতে দর্জির কাছে দেওয়া হয়েছে। শামীমা আক্তার বলেন, আগে বাগে কাপড় কিনে দর্জির কাছে বানাতে আনা হয়েছে। শেষ মুহুর্তে কাপড় এনে দিলে বানানো ভালো হয় না বলে জানায়। মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, ছেলের প্যান্ট বানাতে দর্জির দোকানে আসা। কাপড় কিনে তিনি ঘুরছেন দর্জির দোকানে। সময়মতো ডেলিভারি দিতে পারবেন না বলে জানায়। তারপর অনেক বলার পর অবশেষে দেওয়া হয়।

সড়ক বাজারের মো. শাহীন টেইলার্স বলেন ঈদে প্রতেটি মানুষই চাই নতুন পোশাক পড়তে। তাই কাপড় তৈরী করতে লোকজন দর্জির দোকানে ভিড় করেন। এই ঈদে কাপড় তৈরীর প্রচুর কাজের চাহিদা রয়েছে। কারিগরের সমস্যা থাকায় রাত দিন পরিশ্রম করে ও কাজ শেষ করতে পারছি না। মনে হচ্ছে নতুন করে অর্ডার নেওয়ার কাজ বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেলে ও আমাদের পোশাক বানানোর মজুরি তেমন বেশী বাড়েনি। মজুরি আগের মতোই রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads