• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
৬০০ টাকা মণের ধান কাটতে শ্রমিকের মজুরি ১ হাজার

শ্রমিক না পেয়ে চাষি নিজেই পানিতে ন্যুয়ে পড়া ধান কাটছেন। ছবিটি উপজেলার রুহুলী থেকে তোলা।

ছবি: প্রতিনিধি, লতিফ তালুকদার

সারা দেশ

৬০০ টাকা মণের ধান কাটতে শ্রমিকের মজুরি ১ হাজার

  • ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ মে ২০২২

বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ধান পাকলেও সেই পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে নানা বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছেন চাষিরা। ঘূর্ণিঝড় অশনি’র প্রভাবে বৃষ্টির পানিতে ধানক্ষেত টুইটুম্বুর। ফলে ধান গাছ নুইয়ে পড়ছে পানিতে, তলিয়ে গেছে ক্ষেতের পর ক্ষেত।

এ সময় ধান কাটতে পাওয়া যাচ্ছে না শ্রমিক। ১ মণ ধানের দাম বর্তমান বাজার মূল্য মাত্র ৬ থেকে ৭’শ টাকা। এক দিকে ধানের দাম কম অন্যদিকে একজন ধান কাটা শ্রমিকের মূল্য ৯’শ থেকে ১ হাজার টাকা। তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না শ্রমিক। শ্রমিক সংকটের কারনে ঘরে ধান তুলতে পারছে না চাষিরা। এসব সমস্যার কথা জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিভিন্ন এলাকার বিপাকে পড়া চাষিরা।

উপজেলার রুহুলী গ্রামের ধান চাষি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ধান চাষ করে ভুল করেছি। এক মণ ধান বিক্রি করছি ৬’শ টাকায় আর একজন শ্রমিককে দিতে হচ্ছে ১ হাজার টাকা। তাহলে কিভাবে কৃষক ধান আবাদ করবে।

কয়ড়া গ্রামের কৃষক মকবুল হোসেন জানান, বৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়ে গেছে। ধান কাটতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। শ্রমিক সংকটের কারনে ধান কাটতে পারছি না। ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলায় ৭ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ফলন ভালো হয়েছে। প্রতি বিঘায় উফসি জাতের ধান ২৫ থেকে ৩০ মণ ফলন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার ড. হুমায়ূন কবির জানান, ভূঞাপুরে ইতোমধ্যে ৪৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। বৃষ্টির কারনে কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া অশনির কারনে কিছু ক্ষেতের ধান মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। কিন্তু ধানের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। আবহওয়া ভালো হলে আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে সমস্ত ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।

তিনি আরও জানান, আমাদের কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের ধান কাটার জন্য হারভেষ্টার মেশিন প্রদান করেছি। এছাড়াও চাষিদের সহায়তার জন্য ধানকাটা শ্রমিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রমিকদের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেক চাষি নিজেরাই ধান কাটছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads